ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রিত টিসিবি’র পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছেন না কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার জনসাধারণ। আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সরকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ১৫ মে থেকে সারা দেশে কম দামে পণ্য বিক্রি শুরু করলেও ফুলবাড়ীর ডিলাররা মাল উত্তোলন না করায় বঞ্চিত হচ্ছে এ উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। জানা গেছে, রমজানে জনসাধারনের ন্যায্য মূল্যে পণ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার সারাদেশে টিসিবি’র নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিছু পণ্য খোলা বাজারে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি শুরু করেছে। সে অনুযায়ী ওই সকল ডিলারদেরকে টিসিবি’র গুদাম থেকে পণ্য সরবরাহ করে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৭০টাকা, সোয়াবিন প্রতি লিটার ৮৫ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম রোধে রাখা হয়েছে ইউএনও এবং জেলা প্রশাসককে অবহিতকরন ও তত্ত¡াবধান ব্যবস্থা। কিন্তু এ উপজেলায় টিসিবি’র নিয়োগকৃত ছয়জন ডিলারের মধ্যে শুধুমাত্র একজন ডিলার পণ্য উত্তোলন করে বিক্রি শুরু করেছেন খড়িবাড়ী বাজারে। বাকিদের কেউ পণ্য তোলেননি আর ২/১ জনের বিরুদ্ধে পণ্য তুলে গুদামেই বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই ৬টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার এক প্রান্তের একটি বাজারে একটি মাত্র টিসিবি’র দোকান খোলায় গোটা উপজেলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। টিসিবি’র ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের ডিলার সুধীর চন্দ্র ভানু জানান, এখনও পণ্য উত্তোলন করি নাই। দু-এক দিনের মধ্যে উত্তোলন করবো। খড়িবাড়ী বাজারের রুমা-রুমকি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ডিলার মজিবুল হক শেখ জানান, গত ১৭ মে থেকে বিক্রি শুরু করেছি। মনে হয় আগামী সপ্তাহে আবারও পণ্য উত্তোলন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে শিমুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এজাহার আলী, ফুলবাড়ী জছি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের আব্দুস ছবুর খোকন, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী জানান,উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাজার গুলোতে না যাক, অন্তত উপজেলা সদরের ১/২জন ডিলার পন্য উত্তোলন করে ফুলবাড়ী বাজারে দোকান খুললে নি¤œ আয়ের মানুষের সুবিধা হতো। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস করে ডিলাররা সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে। অথচ উপজেলা প্রসাশন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাও জানান, উপজেলায় টিসিবি’র কতজন ডিলার আছে সেটা আমি সঠিক জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন