সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : বিধি মোতাবেক আবেদন জানিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দেয়া সত্বেও দীর্ঘ দেড় যুগেও রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্র গ্রামের ব্যবসায়ী মজিবর রহমান বাদশা। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ শুধু ওই ব্যবসায়ীকে হয়রানী করে আসছেন। ফলে রাইস চালু করা সম্ভব না হওয়ায় গ্রাহক ওই ব্যবসায়ী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অভিযোগে প্রকাশ, মজিবর রহমান বাদশা বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ির রাজবাড়ী হাট নামক স্থানে রাইস মিল স্থাপনের জন্য শিল্প মিটারের আবেদন করেন ১৯৯৯ সালে। মিটারের সমীক্ষা ফি’র টাকাও জমা দেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় আবারও ২০০৭ সালে ও ২০০৮ সালে আবেদন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ২০১১ সালে ৩০ কিলোওয়াটের জন্য ৬৩ হাজার ৪৪৬ টাকা রশিদ মুলে জমা করেন। এরপর ৩০ কিলো ওয়াটের ট্রান্সফর্মার উঠালেও যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিকে মজিবর রহমান বাদশা রাইস মিল চাতালসহ ঘর দরজা নির্মাণ করেন। এতে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হলেও এ পর্যন্ত বৈদ্যতিক সংযোগ না পেয়ে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মজিবর রহমান বাদশা আরো অভিযোগ করেন তার আবেদনের পরে একই এলাকার ৩ জন সংযোগ চেয়ে আবেদন করে। তারা সংযোগ পেয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। কিন্তু মজিবর রহমানকে বৈদ্যুতিক সংযোগ না দিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখে একাধিকবার ডিমান্ড ফি বাবদ টাকা জমা দেয়ার নোটিশ ইস্যু দেখানো হলেও তিনি কোন নোটিশ পাননি। মজিবর রহমান জানান, ডিমান্ড ফি’র টাকাও জমা দেয়া হয়েছে। জমাকৃত টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বিগত দেড় যুগেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে হয়রানী করছেন। বাধ্য হয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের এজিএম রকিবুুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান ৬ মাস আগে যোগদান করেছি। তাই সংযোগ না দেয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন