স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র মাহে রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের পরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা জানান। কারাগারে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) উদ্দেশ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ইসি রোডম্যাপ দিয়েছে। রোডম্যাপ বা রাস্তা কোথায় হয়? সমতল ভূমি থাকলে রাস্তা বানানো সম্ভব হয়। সমান সুযোগ ও সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে। আর এজন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে হবে। এটা না করে আপনি যতই রাস্তা বানান না কেনো সেই রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হবে না। রোডম্যাপ ঠিক করুন, আমরা সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা জানেন না। এই তল্লাশি নাকি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে হয়েছে। সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ আপনাদের জন্য ভালো হয়েছে নাকি খারাপ?
সরকারের মেয়াদ শেষ হলে তারা এরকম ভুল করে উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, এ ধরনের কাজের মাধ্যমে সরকার তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনে যেতে তিন শর্ত দিলেন দুদু
একই সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে তিনটি শর্ত দেন। দুদুর দেয়া শর্ত তিনটি হলো-খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সব নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সব রাজবন্দীকে মুক্তি, যারা ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে লুটপাট করছে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, থাকবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। তিনি বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনকে এই তিনটি শর্ত মানতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই তিন শর্ত মেনে নিলে পরদিনই বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেবে। এর বাইরে যতই চেষ্টা করা হোক বাংলাদেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। হতে দেয়া হবে না।
সরকারের বন্ধুরা আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে দাবি করে দুদু বলেন, সরকারের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ভারত বলেছে তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছে। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বস্তিতে নেই। তারা বলেছিলেন, তারা নাকি ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছেন। কোথায় গেল সেগুলো।
তাদের দল (বিএনপি) সিদ্ধান্ত নিলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন দুদু।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান ও খায়রুল কবির খোকনের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন