মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কৃষি খামারে ঘুরলো ভাগ্যের চাকা

| প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরদী (উপজেলা) উপজেলা সংবাদদাতা
ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে জিল্লু সেভ এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারি মোঃ নাজমুল ইসলাম জিল্লু বিএ অনার্স পাশ করে চাকরি কিংবা ব্যবসাতে না গিয়ে কৃষিতে জড়িয়ে পড়েন। কৃষি খামার করে তিনি আজ ঈশ্বরদীতে সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। পেয়ারা, আম, লিচু, কাঁঠাল, দেশি লেবু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, মুলা, আলু, বেগুনসহ নানা ধরনের সবজি মিলে শতাধিক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতি বছর বৃক্ষ রোপন করে তিনি এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। কৃষক জিল্লু বলেন, পড়াশুনা শেষ করে চাকরির জন্য সময় নষ্ট না করে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ২০০৬ সালে মা-মাটিকে ভালোবেসে কোন কিছু না ভেবে কৃষিতে জড়িয়ে পড়ি। সে সময় নিজ হাতে লিচু, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারার গাছ রোপন শুরু করি। সেসব গাছ এখন বিশাল আকার ধারন করেছে। এবার লিচু, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা গাছে অসংখ্য ফলন এসেছে। পরিশ্রম মানুষকে ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজেই। কৃষিকে এখন আর ছোট করে দেখার উপায় নেই। আধুনিক কৃষি দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে অনেক কৃষি পণ্য আজ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। কৃষকেরা কায়িক পরিশ্রম করে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করতে যাচ্ছে এটা সন্নিকটে বেশি দেরি নয়। তিনি আরও বলেন, আমার দেখাদেখি এই এলাকার অনেক যুবক কৃষি খামার করে লাভবান হয়েছেন। তিনি বলেন, চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে কৃষি খামার করে স্বাবলম্বি হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের কৃষি খামার করার জন্য আহŸান জানান। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন জামাল বলেন, শিক্ষিত যুবক নাজমুল ইসলাম জিল্লু পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সংগ্রাম করে সাহসিকতার মধ্য দিয়ে কৃষি খামার করে তিনি একজন সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। পরিশ্রম মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ হলো জিল্লু সেভ এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারি কৃষক জিল্লু। কঠোর পরিশ্রম করে জিল্লু একজন মডেল খামারি হিসেবে ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে পরিচিতি লাভ করেছেন। জিল্লুর সফলতা দেখে ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের যুবকেরা রীতিমতো প্রতিযোগিতামূলক কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছেন। পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে জিল্লুর মতো সকলেই এক সময় ক্রমান্বয়ে উপরে উঠতে থাকবে। তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে ফলমুল, সবজি ও গরু চাষি জিল্লুর খামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jogen Biswas ২৭ মে, ২০১৭, ৪:৩৫ পিএম says : 0
Like.....?Thanks You Very Much Your Project
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন