রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সেপটিক ট্যাংকে আ.লীগ কর্মীর লাশ ভাইসহ আটক ৪

প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মিজান সিকদার (৩২) নামে এক আ.লীগ কর্মীকে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে। শনিবার রাত ১১টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মিজানের আপন ছোট ভাই ইলিয়াস (২৮) ও প্রতিবেশী গিয়াস তালুকদার (৩৫)কে জিজ্ঞাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। নিহত মিজান চৌদ্দঘর গ্রামের ভাষার সিকদারের ছেলে। জানা যায়, পারিবারিক কলহ ও গেল পৌরসভা নির্বাচনে সৃষ্ট শত্রুতার কারণে মিজানকে পা ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা করে তার ভাইসহ ৪ জন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে মিজানকে কৌশলে ডেকে নেয় ৩ হত্যাকারী। এ সময় মিজানের ভাই ইলিয়াস রাস্তায় পাহারায় থাকে। কিছুক্ষণ পরে ওই ৩ জনের একজন ইলিয়াসকে ফোন করে জানায়, তুই বাড়ি চলে যা। সমস্যা হয়েছে (মারা গেছে)। ইলিয়াস বাড়ি চলে যায়। ওই তিন খুনি মিজানের লাশ নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রাখে। গত শনিবার বিকেলে মিজানের ব্যবহৃত জুতা ও ঘড়ি পাওয়া যায় বাগানে এবং মাটিতে দেখা যায় রক্তের দাগ। এ নিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয়রা সেপটিক ট্যাংকে খুঁজে পায় মিজানের লাশ। জানা গেছে, গেলে পৌরসভা নির্বাচনে মিজান ছিল বিজয়ী কাউন্সিলর নান্না শেখের কর্মী। নির্বাচনের পরে মিজান তার প্রতিপক্ষের লোকদের মারপিট ও চাঁদা দাবি করছিল। এছাড়াও মিজান তার পরিবারে সবার সাথে অসদাচরণ করতো। এই দুই কারণে মিজানকে হত্যা করা হয়। তবে মিজানের ভাই আটক ইলিয়াস বলেন, মিজানকে ধরে পা ভেঙে দেয়ার কথা ছিল কিন্তু তার অনুপস্থিতিতিতে অপর ৩ জন মিজানকে মেরে ফেলে। খানার ওসি (তদন্ত) তারক বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। তবে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন