আলমগীর হোসেন, বুড়িচং (কুমিল্লা) থেকে
বর্তমান সরকার গ্রামীণ জনপদের অবহেলিত রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার সাধন করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করে আসছে। পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কিংবা অন্য যে কোন কারণেই হোক না কেন বছরের পর বছর ধরে অনেক গ্রামীণ সংযোগ রাস্তা ও সড়ক উন্নয়নে কোনরূপ কাজ করা হয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে ওই সমস্ত রাস্তা ও জনপদ শত বছর পূর্বে যেমনটি ছিল সংস্কার ও মেরামতের অভাবে ঠিক তেমনটিই পড়ে আছে। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার যে সমস্ত উল্লেখ্যযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক/রাস্তাগুলো বছরের পর বছর অবহেলিত জনপদ হিসেবে পড়ে আছে সেগুলো হলো: কুমিল্লা মিরপুর সড়কের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের দক্ষিণে নগরপাড় ও বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর, লড়িবাগ- পাচোঁড়া, চড়ানল ধারেশ্বর সংযোগ সড়ক। বারেশ্বর চৌমুহনী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ টাকই, ভরভাঙ্গাইন্ন, জিরুইন সড়ক। বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জরইন নোয়াপাড়া হতে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া সড়কের মইরমের পুল ও বাগান বাড়ি হতে রাজাপুর হাইস্কুল রাস্তা ও সড়কগুলো অন্যতম। ওই সমস্ত গ্রামীণ রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বিশেষত, পাচোঁড়া, ধারেশ্বর, লড়িবাগ, বারেশ্বর, চড়ানল, পূর্ণমতি, জরইন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকই, জিরুইন, ভরভাঙ্গাইন্না, চন্ডিপর, আসাদনগর ও সাহেবাবাদ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটোরিক্সায় যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ, সাহেবাবাদ লতিফা ইসলাইল উচ্চ বিদ্যালয়, সাহেবাবাদ ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, বারেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, বারেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারেশ্বর সাইয়্যেদ লোদীশাহ একাডেমী, বারেশ্বর মাদ্রাসা, লড়িবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, লড়িবাগ ইসলামী কমপ্লেক্স মাদ্রাসা ও লড়িবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়, চড়ানল মাদ্রাসা ও চড়ানল প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাচোঁড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীরা এবং সাধারণ জনগণ পায়ে হেঁটে ও ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি ও অটো রিক্সা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। চলাচলকৃত ওই রাস্তা ও সড়কগুলো বেশিরভাগ কাঁচা ও রাস্তায় বিভিন্ন গর্ত ও অপ্রশস্ত বিধায় সঠিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে না। অধিকন্তু, রাস্তার মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় জনগণকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া, সড়কগুলো বেশির ভাগই ভাঙা ও মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অধিকাংশ সড়কের অবস্থা এমন হয়েছে যে, ছোটখাট যানবাহন চলাচলেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বুড়িচং সদর ইউনিয়নের জরুইন নোয়াপাড়া হতে ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ওই ইউপির চেয়ারম্যান জাবেদ কাউছার সবুজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নতুন একটি রাস্তা নির্মিত হয়ে কুমিল্লা মিরপুর সড়কের বাগানবাড়ি ও মইরমের পুল সংলগ্ন স্থানে গিয়ে সংযুক্ত হওয়ায় গ্রামীণ জনগণের চলাচলে নতুন দিগন্তের সূচনা হলেও নতুন নির্মিত ওই রাস্তাটি পাকাকরণ সহ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক ও রাস্তারগুলোর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন