চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর শহরে রেলওয়ের বকুল তলায় প্রায় ৫০ শতাংশের একটি পুকুর ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করার পায়তারা শুরু করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ পুকুরে ৮ হতে ১০টি এলাকার শত শত রেলওয়ে কোয়াটার ও রেলওয়ে এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের নিত্যদিনের ব্যবহৃত পানি এসে পড়ে। পুকুরের পানি ডাকাতিয়া নদীতে মিশে শহরের পানি নিষ্কাশনে ভূমিকা রেখে শহরবাসিকে পানিবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে।
পুকুরটি মৎস্য চাষের জন্য প্রায় ২০ বছর পূর্বে জনৈক মরহুম তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার নামে রেলওয়ে থেকে লিজ নেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পর গত ৪ বছর থেকে পুকুরটিতে রাক্ষুসি মাগুর মাছ চাষ করে পুকুর পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে ফেলে। রাস্তা মেরামতের নাম করে ভূমিদস্যু চক্র পুকুরটি ভরাট করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। বকুলতলা এলাকার হাজার হাজার মানুষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরটি ভরাট না করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।
চাঁদপুর শহরের ব্যাস্ততম ও জনবহুল এলাকা শহরের কুমিল্লা রোড, পাল বাজার, রেলওয়ের ১৪ নং, ১০নং কোয়াটার, বকুলতলা রোড, রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনি, বকুলতলা মার্কেট, রেলওয়ে জিলানী জামে মসজিদ ও শিশু বিদ্যালয় রেলওয়ে কিন্ডার গার্টেনসহ এ এলাকার শত শত বাসা বাড়ি, রেলওয়ে কোয়াটারের নিত্য দিনে ব্যবহৃত পানি ড্রেন বা রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে এসে বকুলতলা মার্কেটের পেছনে পুকুরে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ পুকুরটি ড্রেজারের মাধ্যমে বালি দিয়ে ভরাট করে অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে ভূমিদস্যু চক্র।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরে রেলওয়ের ভূমির দায়িত্বে থাকা কর্মকতা এসএ ই/কার্য্য মো: জাহান শরীফ জানান, বকুলতলার পুকুর ভরাটের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানাব।
চাঁদপুর-লাকসামের দায়িত্বে থাকা কর্মকতা এস এস এ ই/কার্য্য রাম নারায়ন ধর জানান, পুকুরটি ভরাটের ব্যাপারে যে পরিকল্পনা হচ্ছে, তা আমরা জানতে পেরেছি। চাঁদপুরে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জাহান শরীফ ও সোলেমানকে বলা হয়েছে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক জিআরপি পুলিশও নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য। তবে আমরা এলার্ড রয়েছি।
এ ব্যাপারে চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক/রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুকুর ভরাটের ব্যাপারে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাধ্যমে খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কার এত সাহস বিনা অনুমতিতে এ কাজ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন