শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধে!

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কালকিনি(মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদী গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে নওমুসলিম মাহাবুবা বেগম বিউটি নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষিকা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। শুধু মাত্র কণ্যা সন্তান জন্ম দেয়ার অযুহাতে তার স্বামী কালকিনি পৌর এলাকার বিবাহ রেজিস্টার কাজী এনামুল হক ফরাজি তাকে স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিনের পর দিন শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর স্বামীর অধিকার পেতে সেই গৃহবধু আদালত থেকে শুরু করে থানা পুলিশ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
জানাগেছে, ১৯৮৯সালে উত্তর রাজদী গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বী মনমথ মজুমদারের মেয়ে বিউটিকে বিয়ে করেন একই গ্রামের আব্দুল মালেক ফরাজির ছেলে এনামুল হক ফরাজি। আর বিয়ের পরে সেই গৃহবধু নিজের লেখাপড়া শেষ করে কালকিনি বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী পদে চাকরি শুরু করেন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তার ৪টি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। আর এই কন্যা সন্তানই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনে। শুরু হয় সেই নওমুসলিম গৃহবধুর ওপর অমানুষিক নির্যাতন। অপরদিকে তার স্বামী পৌর এলাকার বিবাহ রেজিস্টার কাজী এনামুল হক ফরাজি অন্যত্র বিয়ে করার চেষ্টা করেন। এনিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করা হলে আপোষ মিমাংসার কথা বলে মামলার সূরাহা করা হয়। এব্যাপারে নির্যাতিতা নওমুসলিম গৃহবধু মাহাবুবা বেগম বিউটি বলেন ‘আমার ৪ কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বামীর অধিকার ফিরিয়ে পেতে আমাকে যে শর্ত দেয়া হবে আমি তা মেনে নেব তবু আমাকে সে (তার স্বামী) আমাকে মেনে নিক এটিই আমার দাবী। এব্যাপারে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনামুল হককে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্দু বালা এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং তার স্ত্রীর মানষিক সমস্যা আছে বলে দাবী করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন