শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি আঁকাবাঁকা সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত হবে কবে?

| প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট ও করেরহাট হয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য রুটে রয়েছে নিত্য চলাচলকারী বিভিন্ন মানের বাস। ৩২ আসন, ৪০ আসন ও ৫২ আসনের গাড়িগুলোর কোনটি ফিট আবার কোনটি আনফিট। আর আনফিট গাড়িগুলোর ছাদে করে মানুষ বয়ে আনা এখানে নিত্য দিনই চলছে। পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ বেয়ে পুরোনো লক্কর ঝক্কর গাড়িগুলো চলাচল করা ঝুকির পাশাপাশি উদ্বেগজনক। অন্তঃত বাঁকগুলোতে প্রসস্থ করণ ও সিগনালিং ব্যবস্থা থাকলে ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে নিস্তার পেত জান মাল।
উঁচু পাহাড়ী এই সড়ক পথে দুর্ঘটনা ঘটলে তা রুপ নেয় ট্রাজেডি রুপে। নিহতের সংখ্যা হয় অনেক বেশী। বিগত দিনে এই খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য বিভিন্ন রুটের কিছু স্মরণীয় দুর্ঘটনা দেশের অনেক বিখ্যাত মানুষের সারা জীবনের কান্নায় ও পরিনত হয়েছে। চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বান্দরবান ভ্রমনে এসে প্রিয় স্বজন হারা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন আজো। এই পার্বত্যভূমিই তার পরিবার হারানোর শোক। এরপর থেকে নিরাপদ সড়ক চাই ¯েøাগান নিয়ে আজো সেই চাপা কান্না থামাতে পারেন না তিনি। এই পার্বত্য রুটগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটলে কোনভাবে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি পাহাড়ের ঢালুতে পড়ে গেলে কারোই বেঁচে থাকার আশা আর থাকে না। এই রামগড় খাগড়াছড়ি রুটে ও অনেকবার বাস ট্রাক পাহাড় থেকে নিচেই পড়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সড়কের ভাঙ্গাটাওয়ার নামক স্থানে একই ভাবে একটি বাস নিচে পড়ে ৬ জন ও পরবর্তিতে আরো ২ জনসহ ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত হয় আরো অন্তঃত ৩৫ জন। এদের অনেককে পঙ্গুত্ব ও বরণ করতে হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আবার কখনো কখনো এই রুটের হিলবার্ড কিংবার্ড বাসগুলোর ছাদে চড়ে ও যাতায়াত করে অনেকে। এভাবে ঝুকিপূর্ণভাবে অতিরিক্ত যাত্রী, ফিটনেস বিহীন গাড়িসহ নানান অনিয়ম রোধে ট্রাফিক, পুলিশ, পৌরসভা, বিভিন্ন চেক পোস্ট নানান তৎপরতার অন্তঃ নেই। এরপরও চোখের সামনে দিয়ে বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর পর খাগড়াছড়ি রুটের বিভিন্ন আইন শৃংখলা চেকপোস্ট পেরিয়ে বারইয়াহাটের হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক মোড় পেরিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। কারোই যেন দৃষ্টি নেই বিষয়টি নিয়ে। আবার অনেক সময় লক্ষ করা গেছে খাগড়াছড়ির ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ী পথ বেয়ে ছাদে যাত্রী নিয়ে আসা এসব বাস পথে পথে উঠানামা শেষে বারইয়াহাটের মহাসড়কে আসার পূর্বে নামিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তবে কি মহাসড়ক এর পর পুরো সড়কের শত কিলোমিটারের কোথাও মনিটরিং এর আওতায় থেকে ও কেউ নেই। অথচ পার্বত্য রুটের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে, আনসার, পুলিশ ও বিজিবি ক্যা¤প ও চেকপোস্ট। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বারইয়াহাটে কর্মরত ট্রাফিক বিভাগের স্থানীয় দায়িত্বরত জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন খাগড়াছড়ির এই রুটটি আমাদের আওতাভুক্ত নয়। আবার বাঁকগুলো সঠিকভাবে প্রশস্তকরনের দায়িত্বে পার্বত্য সড়ক বিভাগ। তবুও আমাদের ট্রাফিক বিভাগের চোখে পড়লে আমরা তাদের নিয়ম মেনে চলার জন্য সর্তক করি। কখনো চালককে মুচলেকা নিয়ে পরিত্রান করি। এখন থেকে আরো কঠোর নজরদারি করা করা হবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন