শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আশানুরূপ ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুপচাঁচিয়ার কৃষক

ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে লেট ব্রাইটের আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত কয়েকদিনে অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও প্রচ- শৈত প্রবাহের কারণে আলুর জমিতে লেট ব্লাইট রোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষরা চরম উদ্বিগ্নতায় ভুগছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ২টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে কার্ডিনাল, ডাইম-, এসস্ট্রিকস, পাকড়ি জাতের আলু রয়েছে। কৃষক ও কৃষিবিদদের সাথে কথা বলে জানা  গেছে, বর্তমানে আলু চাষীরা খেতে টপ ড্রেসিং এর কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। জমির আলুর গাছগুলো সবুজ রং ধারণ করে সজিব হয়ে উঠেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে গত প্রায় কয়েক দিন যাবত ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলু খেতে দেখা দিতে পারে লেট ব্লাইট বা পাতা মোড়ক রোগ। এ কারণেই আলু চাষীরা ফসল রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সেই সাথে ফসল রক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা সদরের খোলাশ গ্রামে আলু চাষী হেলালুর রহমান হেলাল আবু হোসেন, দুপচাঁচিয়া পূর্ব আলোহালী গ্রামের ইউনুছ আলী, দবির উদ্দীন, জিয়ানগরের খলিশ্বর গ্রামের বাবুল হোসেন বাবু, রেজাউল করিম রেজু, জলঙ্গী গ্রামের একাব্বর আলীসহ অনেকেই জানান তারা প্রতি বছরই ৪ থেকে ৫ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার শুরুতেই সারের কোন সংকট না থাকার পরও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলুর ফলন নিয়ে তারা শঙ্কৃত। তারা আরো জানান, গত বছর ১ বিঘা জমিতে আলু আবাদে ৮ হাজার টাকা খরচ হলেও এবার সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। সব মিলিয়ে আলু ঘরে তোলার সময় দাম কমে যাওয়ায় এবং কম ফলনের আশঙ্কায় তারা উদ্বিগ্ন। উপজেলার জিয়ানগর, গুনাহার, চামরুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা আলুর ক্ষেতে লেট ব্লাইট বা পাতা মোরক  রোগের আশঙ্কায় ওষুধ স্প্রে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মোস্তফা কামাল হোসেন “দৈনিক ইনকিলাব”কে জানান, বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ায় আলু খেতে লেট ব্লাইট বা পাতা মোরক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ফসল রক্ষায় ইতিমধ্যে লিফলেট বিতরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে রোগ বালাই প্রতিরোধে চাষীদের কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে পরামর্শ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন