মোবায়েদুর রহমান
বিশ্ব ব্যাংক গত মাসে ঘোষণা করেছে যে, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে প্রমোশন পেয়ে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন তাদের পরবর্তী টার্গেট হলো মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হতে গেলে একটি দেশের মাথা পিছু আয় হতে হবে ১৩১০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় ২০১৫ সালের শেষে উন্নীত হয়েছে ১৩১৪ মার্কিন ডলারে। এই বিপুল উন্নয়নে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করবে। তখন প্রয়োজন হবে মাথা পিছু আয় ৪,১২৫ ডলারের। বাংলাদেশ দৃঢ় আশা পোষণ করে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৪,১২৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছবে। সেই অবস্থান নিতে হলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বর্তমান ১৩১৪ ডলার থেকে ৪১২৫ ডলারে উন্নীত হতে হবে। অর্থাৎ আগামী ৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশর মাথা পিছু আয় আরো ২৮১১ ডলার বৃদ্ধি করতে হবে। এক শ্রেণীর অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন যে, মাত্র ৬ বছর সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়কে ২৮১১ ডলার বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে ৪৬৮.৫ ডলার করে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডির অর্থনীতিবিদগণের মতে এটি একটি অসম্ভব ব্যাপার।
আমরাও অসম্ভব বলছি এই কারণে যে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রমোশন পেতে গেলে যেসব পূর্ব শর্ত পালন করতে হবে সেগুলো করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এসব পূর্ব শর্তের মধ্যে রয়েছে, যথপোযুক্ত সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ বা গড়ে তোলা। এই সামাজিক অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি। অর্থনীতির পরিভাষায় এটিকে এভাবে বলা যায়, শতাংশ হিসাবে শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি। অনুরূপভাবে জিডিপির শতাংশ হিসাবে স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি। (Increase in public expenditure on education as a percentage of GDP.) Ges (Increase in public expenditure on health as a percentage of GDP.) বাংলাদেশে বর্তমানে এই দুই খাতে সরকারি ব্যয় অনেক কম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় এবং সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে যেসব তথ্য পেয়েছি সেগুলোরই প্রাসঙ্গিক অংশগুলো সম্মানিত পাঠক ভাইদের খেদমতে পেশ করছি। এখানে আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব নয়। ইন্টারনেটের কোনো কোনো ওয়েবসাইটে ২০১৫ এবং কোনো কোনোটাতে ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। যেখান থেকে যতটুকু পরিসংখ্যান পেয়েছি সেগুলোই আপনাদের জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু জাতীয় আয় এখন ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ১৯০ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ১২৪ ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক প্রাক্কলনে এ তথ্য পাওয়া যায়। ১৪ মে ২০১৫ বিবিএসের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্য মতে এক বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়েছে ১২৪ ডলার। এটি স্বাভাবিক মূল্যের ভিত্তিতে। বিশ^ ব্যাংকের র্যাংকিং মতে, মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৩ নম্বরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের র্যাংকিং মতে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৮ নম্বরে এবং ইউনাইটেড নেশনস বা জাতি সংঘের র্যাংকিং মতে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ নম্বরে। সেই হিসাবে বাংলাদেশর অর্থনীতির অবস্থান পৃথিবীতে অন্তত পক্ষে ১৪৮তম। অর্থাৎ বাংলাদেশের একজন মানুষ বছরে ১৩১৪ ডলার আয় করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় অফিসিয়ালি এক ডলার সমান ৭৮ টাকা ধরা হলেও বেসরকারি মার্কেট থেকে ৮০ টাকা দিয়ে ১ ডলার কিনতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৫ হাজার ১শ ২০ টাকা এবং মাসিক আয় ৮ হাজার ৭শ ৬০ টাকা। এখন এই আয়কে অর্থাৎ ১৩১৪ ডলারকে ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ ৬ বছরের মধ্যে ৪১২৫ ডলারে উন্নীত করতে পারলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সমিতিতে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ আগামী ৬ বছরে বাংলাদেশকে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করতে হবে ২৮১১ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬ বছরে আয় বৃদ্ধি করতে হবে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৮শ ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি বছরে বৃদ্ধি করতে হবে ৩৭ হাজার ৪৮০ টাকা। এটি একটি অসম্ভব ব্যাপার। অসম্ভব কেন? সেটি নিচে ব্যাখ্যা করছি।
॥ দুই ॥
আগেই বলেছি যে, মাথাপিছু আয় বাড়াতে হলে জিডিপির শতাংশ হিসাবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপির শতাংশ হিসাবে শিক্ষা খাতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যয়ের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। সেই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, এই খাতে বাংলাদেশের ব্যয় জিডিপির মাত্র ১.৯৭ শতাংশ। অথচ ভুটানেও এই ব্যয় ৫.৯ শতাংশ। মালেয়শিয়াতে এই ব্যয় ৬.২৯ শতাংশ, ইরানে ৩.০৬ শতাংশ। এমনকি নেপালেও ৪.৭২ শতাংশ। হংকং ৩.৭ শতাংশ। ব্রুনাই দারেসসালামে এই ব্যয় ৩.৭ শতাংশ।
জিডিপির শতাংশ হিসাবে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যয় ১.৩ শতাংশ। ব্রুনাই দারুসসালামে এই ব্যয় ২.৩ শতাংশ, ইরান ২.৭ শতাংশ, মালেয়শিয়া ২.৭ শতাংশ ইত্যাদি। বাংলাদেশের এই ব্যয় অন্তত ৩ গুণ করতে না পারলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অবকাঠামো তৈরি হবে না এবং ফলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। স্বাস্থ্য সেক্টরে অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা দিলাম না। এখন এ দেশের লক্ষ লক্ষ লোক আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা প্রভৃতি দেশে প্রবাসী হিসাবে বসবাস করছেন। যারা ওইসব দেশের নাগরিক হয়েছেন অথবা যারা পিআর পেয়েছেন বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পেয়েছেন, তারা জানেন যে, ওইসব দেশে বিপুল পরিমাণে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় আমার এক আত্মীয়ের অ্যাবডোমেন বা তলপেটে একটি মেজর অপারেশন করা হয়। তার এই অপারেশন বাবদ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু তাকে দিতে হয় মাত্র দেড় লক্ষ টাকা। অবশিষ্ট সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধিত হয় তার হেলথ ইনস্যুরেন্স থেকে। অর্থাৎ রাষ্ট্র সেটা পরিশোধ করছে। ওইসব দেশে যে সামাজিক নিরাপত্তা সিস্টেম আছে সেটি জনকল্যাণের দিক দিয়ে অন্যন্য একটি নজির। আমাদের দেশে এই মুহূর্তে হেলথ ইনস্যুরেন্সের ব্যাপারটা নেহায়েত একটি কষ্ট কল্পনা। অথচ বাংলাদেশের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ বঞ্চিত দেশকে উন্নত করতে হলে তার একমাত্র সম্পদ অর্থাৎ জনসম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যাবহার করতে হবে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে যে জনসম্পদ সৃষ্টি হবে সেই জনসম্পদই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন তথা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করতে পারে। সেগুলো না করেই হুট করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ইচ্ছা করলে সেটি ইচ্ছার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবে আর রূপ লাভ করবে না।
॥ তিন ॥
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডিও মনে করে যে, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব। সিপিডি’র সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে তিনটি ক্যাটাগরি পূরণ করতে হবে। এগুলো হচ্ছে মাথাপিছু আয়, মানব সূচক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি। এই তিনটির মধ্যে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্যাটাগরি পার করেছে। বাকি মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে স্বল্পোন্নত ৪৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। আর মানব সূচক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটু কাছাকাছি তথা ৬৬ শতাংশের জায়গায় ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই ৩ ক্যাটাগরির মধ্যে ২টি ক্যাটাগরি পূরণ করতে পারলে সেই দেশকে ৩ বছর পর্যালোচনার মধ্যে রাখা হবে। দেশ সেই অবস্থানে থাকলে এবং বাকি ১টি ক্যাটাগরি পূরণ করতে পারলে তাকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের করে আনা হবে।
ড. দেবপ্রিয় আরো বলেন, নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ বলেছেন যে, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। এটা অসম্ভব। এটা রাজনৈতিক বক্তব্য হতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিক সূচকে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে মাথাপিছু আয় ৪ গুণ বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১৩১৪ মার্কিন ডলার। মধ্যম আয়ের জন্য এটাকে ৪ হাজার ১২৫ ডলারে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে হবে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এ জন্য বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বের করতে হবে।
সিপিডির এই প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক বলেন, শ্রমের উৎপাদনশীলতায় বাংলাদেশ সবার থেকে পিছিয়ে। শ্রমের উৎপাদনশীলতার দিক থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৪৮তম।
॥ চার ॥
সামাজিক সমতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে বলা যায় যে, নিম্ন আয়, নিম্ন মধ্যম আয় বা মধ্যম আয় আমাদের সামনে এই মুহূর্তে প্রধান বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, যতটুকু অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে, যতটুকু সামগ্রিক জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই জাতীয় আয় যতদূর সম্ভব বঞ্চিত এবং অবহেলিত জনগণের মাঝে সুষম বণ্টন করা। যতই অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে ততই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে আয় বৈষম্য বা আয়ের অসাম্য (Income inequality) সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কোটিপতির সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। অথচ ১ লক্ষ তো দূরের কথা, ১৬ লক্ষ লোক হলো মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। সেখানে ১ লক্ষ লোক মোট জনসংখ্যার ০.০৬২৫ শতাংশ। এটি চরম ধনবাদী সমাজের চিত্র হতে পারে। কিন্তু জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র বা Welfare State-এর চিত্র হতে পারে না। যেখানে গড়ে সাধারণ মানুষের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৫ হাজার ১ শত ২০ টাকা সেখানে ১ লক্ষ লোকের প্রত্যেকের হাতে কোটি টাকারও বেশি অর্থ পুঞ্জিভূত হলে তাতে ঐ ৮/৯ হাজার টাকা মাসিক ইনকামের লোকদের কি এসে যায়? অথচ এরাই প্রান্তিক জনগণ। এদের সংখ্যাই বাংলাদেশে কোটি কোটি, অর্থাৎ এরাই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৪ অনুযায়ী, দেশের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের মালিকানা মাত্র ১০ শতাংশ প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত রয়েছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ধনী ১০ শতাংশ মানুষের দখলে দেশের মোট সম্পদের ৩৬ শতাংশ। বিপরীতে সবচেয়ে গরিব ১০ ভাগের হাতে সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খানের মতে, যে কনজাম্শন বান্ডেলের ওপর হিসাব করে ১৯৭২ সালে দারিদ্র্যসীমা মাপা হতো, এখনো সেটাই করা হচ্ছে। তবে সেই কনজাম্শন বান্ডেলের ওপর যে আয় হিসাব করা হয়েছে, এখন তা মোটেও প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে এত বেশি উৎপাদনশীলতা বেড়ে গেছে যে, তাতে সঠিকভাবে দারিদ্র্যসীমা নিরূপণ করা সম্ভব নয়। যদি বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী ৩ ডলার করে আয় মাপা হয়, তাহলে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।
journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন