শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চলনবিলাঞ্চলে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক :চলনবিলাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোট-
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, হিমেল বাতাসের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে চলনবিলাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত একটানা বিরামহীন বৃষ্টিতে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। জানা যায়, মাঘের শুরুতেও এ এলাকায় স্বাভাবিক শীত বিরাজ করছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তীব্রতা বেড়ে গিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে থাকে। এতে শীতের তীব্রতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। বৃষ্টিতে ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে না পারায় কেউ কেউ ছাতা নিয়ে বাইরে বের হয়। বৃষ্টি আর প্রচ- শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া,স্বর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাপমাত্রা হু-হু করে নিচে নেমে যাওয়ায় শীতে কাতর হয়ে পড়ে ছিন্নমূল মানুষ। দুর্ভোগে পড়ে গবাদি পশু ও পাখ-পাখালীও। রাস্তাঘাটে লোকজন ও যানবাহনের সংখ্যাও কমে যায়। বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও পাবনা-নাটোর মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা না আসায় স্কুল-কলেজগুলো কার্যত বন্ধ থাকে। মামুদপুর গ্রামের ভ্যান চালক মোবারক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হতে পারছি না। আমরা গরীব মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজলেও অসুখ হবে, আবার ভ্যান চালাতে না পারলেও অনাহারে থাকতে হবে।
চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনার চাটমোহরে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর গত বুধবার দিনভর বৃষ্টিতে প্রচ- রকমের শীতে পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাবে মানুষের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা গেছে। ইতোপূর্বে ঘন কুয়াশার কারণে আর্দ্র আবহাওয়ায় প্রচ- শীতে মানুষসহ প্রাণিকুল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। দিন মজুররা ঘরের বাইরে   যেতে পারছেন না। ফলে তারা কাজও করতে পারছেন না। রিকশা, ভ্যান চালকরাও ভোরে বের হতে পারছেন না। চাটমোহর উপজেলাসহ চলনবিলাঞ্চলের সব কটি উপজেলার বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণিকুল সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যের রয়েছে। বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এতে বিশেষ করে  শিশু ও বৃদ্ধদের  কোল্ড ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনের শীতে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ক্লিনিকে প্রতিদিন শীতজর্নিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। এ অঞ্চলে গরম কাপড়ের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। চাটমোহর উপজেলাসহ চলনবিলাঞ্চলের সব কটি উপজেলার বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণিকুল  সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যের রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন