মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জেলেদের জন্য বিশেষ মৎস্য খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসে বলেশ্বর, বিষখালী নদীতে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকার দু:স্থ জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য প্রতি মাসে ৯২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩’শ জেলেদের জন্য গত তিন মাসে (মার্চ, এপ্রিল, মে) ২’শ ৭৬ মেট্রিক টন চাল সম্প্রতি বিতরণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেয়া, স্বজনপ্রীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার সকালে স্থানীয় বেতমোন ইউনিয়নে ঘোপখালী গ্রামে সরেজমিনে গেলে কার্ডধারী জেলে কুদ্দুস সর্দার, মফিজ উদ্দিন, এমাদুল হক, রুহুল আমীন, নিজামিয়া গ্রামের আ: মজিদ জানান, বহু কষ্ট করে আমরা জেলে কার্ড পেয়েছি, কিন্তু কার্ড থাকা সত্তে¡ও আমাদের চাল দেয়নি।
ঘোপখালী গ্রামের অপর জেলে ফুল মিয়া (৫০) (যার চাল নেয়ার সিরিয়াল নং ১১৮), হাবিবুর রহমান(৫৫) (সিরিয়াল -১১১) ও দুলাল মৃধা(৩০), জানান, গত তিন মাসে জন প্রতি ১২০ কেজি চালের পরিবর্তে তারা চাল পেয়েছেন মাত্র ৫০ কেজি করে।
ইউপি চেয়রম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ৮’শ ৯০ জন জেলে কার্ড পেলেও বরাদ্দকৃত চাল পেয়েছি মাত্র ৩’শ ৫০ জনের। এই চাল কার্ডধারী ছাড়াও দুস্থ্য জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়া স্থানীয় মৎস অফিসের সাবেক মাঠ কর্মী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে যারা জেলে নয় তাদেরকে জেলে কার্ড দেয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের জেলে রফিকুল (২৮) মোস্তফা ফকির (৪৫) জানান, গত তিন মাসে জনপ্রতি ৪০ (প্রতি মাসে) কেজি করে দুজনে ২”শ ৪০ কেজির স্থলে চাল পেয়েছি মাত্র ১’শ কেজি।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এসএম আজাহার জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নে চাল বিতরণের মৌখিক অভিযোগ আমিও পেয়েছি। ইউিিপ চেয়ারম্যানের নামে বরাদ্দকৃত চাল কবে কখন বিতরণ করা হয় তা আমি, ট্যাগ অফিসার এমনকি ইউএনও মহোদয়ও জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন জানান, জেলেদের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন