তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়ন ইউপির প্রত্যন্ত ও নিভৃত ধামধূম সাওতাল পল্লীতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট রয়েছে। রাজশাহীর তানোর ও চাপাইনবাবগজ্ঞ সদেরর সীমান্ত সংলগ্ন ধাসধূম সাওতাল পলÍীতে কোনো টিউবয়েল বা নলকূপ নেই। ফলে সেখানে বসবাসরত ৫০টি পরিবারকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে অবর্নীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, ধামধূম সাওতাল পল্লীর গৃহবধু ও কিশোর-কিশোরীরা খাবার পানি সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে মাটির কলস ও বালতি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের সিমেন্ট কারখানায় যাচ্ছেন। কলস ও বালতি করে পানি নিয়ে আশার সময় কথা হয়, গৃহবধু সেফালী মুর্মু (৫৫), মিনতী (২৫), শিবাসটিয়াল (১৬) ও পলি (১৪) -এর সঙ্গে তারা বলেন, তাদের পল্লীতে একটি মাত্র হস্তচালিত নলকূপ আছে কিন্তু প্রায় ৮ মাস ধরে সেটি নষ্ট হয়ে আছে। তারা বলেন, আশ্বিণ-কার্তিক মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত এই অঞ্চল প্রচন্ড খরার কবলে পড়ে। তখন তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা বলেন, তাদের গ্রামের মধ্যে একটি পুকুর ও অদুরে একটি খাল আছে কিন্তু খালের পানিতে বিভিন্ন প্রকারের সার প্রয়োগ করে মাছচাষ করায় এসবের পানি তারা গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না। আবার দীর্ঘদিন ধরে তারা গ্রামের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক পাম্প স্থাপনের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিচ্ছেন, কিন্তু কেউ এ বিষয়ে এগিয়ে আসেনি। আমরা সাওতাল ও দরিদ্র বলে কেউ আমাদের খোজ রাখে না। এ ব্যাপারে তানোরের বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিন্তারিত খোজখবর নিয়ে দেখা হবে। এব্যাপারে ধামধূম সাওতাল পল্লীর বয়োজৈষ্ঠ বাসিন্দা কার্তিক হেমরম (৬৫) বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি আনতে হয়, শুধু বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন