শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এখনও উদ্ধার করা যায়নি

সংসদে অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ২১ জুন, ২০১৭



দেশে ঋণ খেলাপি দুই লাখ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মধ্যে ৬৬.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে এ অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, অর্থ মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি। এদিকে হাওড়ের উন্নয়নে পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। হাওড়বাসির বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এটি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।  গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ল²ীপুর-৪ আসনের এমপি মো. আবদুল্লাহ ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। মো. আবদুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে শ্রীলংকায় পাঠানো ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক (এফআরবি, এনওয়াই) য্ক্তুরাষ্ট্রে ফেরত দেয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনে পাঠানো বাকি ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এফআরবি, এনওয়াইয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে। বর্তমানে চুরি করা টাকার মধ্যে ৬৬ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ফিলিপাইনে পাঠানো টাকার অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, অর্থমন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ সকল সংস্থা একযোগে কাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়ায় চুরিকৃত সমুদয় টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় দলিলাদি সরবরাহ সাপেক্ষে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় হতে ফিলিপাইনের  ডির্পামেন্ট অব জাস্টিসের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ফিলিপাইনের ডির্পাটমেন্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি জানান, এ চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের বিভিন্ন র্কর্তপক্ষ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হযেছে এবং চুরিকৃত অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে বর্তমানে ফিলিপাইনের আইনি উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
দেশে ঋণ খেলাপি দুই লাখ
সরকারি দলের সংরক্ষিত মহিলা এমপি পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৬২৩। সরকার ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ওই দুই লাখ ঋণ খেলাপির হাতে কত টাকা আটকে আছে- তার হালনাগাদ তথ্য মন্ত্রীর উত্তরে আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত মার্চের তথ্য অনুযায়ী  দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, যা মোট ব্যাংক ঋণের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকার খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করেছে। ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ সহজ হয়েছে। অবলোপন করা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। তারপরও গতবছরের মার্চ থেকে এক বছরে খেলাপি ঋণের পারিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। মুহিত সংসদকে বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালত আইন- ২০০৩ প্রণয়ন করেছে। ওই আইনের আওতায় খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এছাড়া দেউলিয়া আইন-১৯৯৭ এর আওতায় খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করার মাধ্যমে গেলাপি ঋণ আদায় করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান এমপির এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৬৫৪  কোটি টাকা,  জনতা ব্যাংকের ৬ হাজার ৫১০ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২৫৪ কোটি টাকা,  অগ্রণী ব্যাংকের ৬ হাজার ৮৬ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৮৩ কোটি টাকা,  রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৩২৮ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি  টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৫০  কোটি টাকা, বিডিবিএল এর ৮৫৪ কোটি  টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৩০ কোটি টাকা,  কৃষি ব্যাংকের ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৯৩০ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক হাজার ৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২২৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
হাওড়ের উন্নয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল
মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হাওড়ের উন্নয়নের জন্য এবং হাওড়বাসির বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলাস্থ জাতক উপজেলাধীন বাহাদুরপুর, রাজেন্দ্রপুর সৈয়দাবাদ মৌজায় মোট ২ হাজার ৯৭৫ দশমিক ১৪ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মুহিত বলেন, দেশের দ্রæত শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানী বৃদ্ধি ও বহুমুখী করণের জন্য পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সব এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ  (বেজা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বেজা দ্রত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অন্তত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এর ফলে দেশে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বেজা এ পর্যন্ত দেশে ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করেছে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ব ৮ ব্যাংকের ৯৫২টি শাখা লোকসানে রয়েছে
মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মোট লোকসানী শাখার সংখ্যা ছিল ৯২৫টি। যার মধ্যে সোনালী ব্যাংকের মোট ১ হাজার ২০৮টির মধ্যে লোকসানী ৩৩৩টি, জনতা ব্যাংকের মোট ৯০৭ টির মধ্যে ৬৯ টি লোকসানী, অগ্রণী ব্যাংকের ৯৩৫ টির মধ্যে ৭৮ টি, রুপালী ব্যাংকের মোট ৫৬৪ টি শাখার মধ্যে ১১০টি, বেসিক ব্যাংকের ৬৮টির মধ্যে ৩১টি, বিডিবিলএর ৪২টির মধ্যে ২৭টি, কৃষি ব্যাংকের ১ হাজার ৩১টির মধ্যে ১৬৮টি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৭৯টি শাখার মধ্যে ১৩৬টি শাখা লোকসানে রয়েছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ ৮টি ব্যাংকের মোট ৫ হাজার ১৩৪ টি শাখার মধ্যে ৯৫২টি শাখা লোকসানে রয়েছে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, দেশের মোট ৮টি ব্যাংকের মোট ৪১ হাজার ৪০১ কোটি খেলাপী ঋণের বিপরীতে মাত্র ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত আদায় হয়েছে । যা মোট ঋণের ১৩ শতাংশ মাত্র। তিনি জানান, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা খেলাপী ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৬ হাজার ৫১০ কোটির বিপরীতে আদায় ২৫৪ কোটি, অগ্রনী ব্যাংকের ৬ হাজার ৮৬ কোটি টাকার বিপরীতে ৪৮৩ কোটি টাকা, রুপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ২৬৪ কোটি টাকার বিপরীতে ৩২৮ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিপরীতে মাত্র ১৫০ কোটি টাকা, বিডিবিএলের ৮৫৪ কোটি টাকার বিপরীতে ১৩০ কোটি টাকা, কৃষি ব্যাংক ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার বিপরীতে ৯৩০ কোটি টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ১ হাজার ৫ কোটি টাকার বিপরীতে ২২৩ কোটি টাকা খেলাপী ঋণ আদায় হয়েছে।
২০২০-২১ সালে রাজস্ব আদায় ৫০ শতাংশে উন্নীতের লক্ষমাত্রা
কুমিল্লা-১ আসনের এমপি সুবিদ আলী ভঁইয়ার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান,  ২০১৬-১৭ সালে আয়কর থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক মোট রাজস্বের ৩৭ শতাংশ, যা ২০২০-২১ সালে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সেই সাথে কর জিডিপির পরিমান অনুপাত ২০১৯ সালের মধ্যে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা রয়েছে। চলতি বছরের শেষে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৩০ লাখ অতিক্রম করবে । তিনি জানান, মূল্য সংযোজন কর আইনের জন্য প্রযোজ্য বিধিমালা প্রণয়ন চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রিপো হিসেবে সরবরাহকৃত টাকার বিপরীতে প্রাপ্ত মুনাফার পরিমান ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯১ টাকা।
রিজার্ভ-৩২ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার
ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত ৮ জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমান ৩২ দশমিক ৫২ বিলিয়ান মার্কিন ডলার এবং গত ২০১৬ সালের ৮ জুন পর্যন্ত এর পরিমান ছিল ২৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। উক্ত রিজার্ভ গত বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Nowshad Uddin ২১ জুন, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম says : 0
ক্ষমতাসিনদের ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় ! জনগণের মনের কথা হচ্ছে, তাহলে এত কোটি কোটি টাকা যাবে কোথায় ? আপনারা দেশের জনগণের নাম দিয়ে ক্ষমাতাই আছেন ! জনগণের নিরাপত্তা ও ধন সম্পদ রক্ষন আমানত সংরক্ষন করবেন বলে কথা দিচ্ছেন ! আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী মুক্তিযাদ্ধের নাম দিয়ে নিজ দলের লোক বলে বিভিন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন । তারাই দেশবাসীর খেটে খাওয়া মানুষের টাকা চুরী করছে ! এই শিক্ষিত চেতনাহীন চোরদের সনাক্ত করতে হবে ! না পারলে দেশের কি যে হবে বলা মুশকিল !!
Total Reply(0)
Sohel ২১ জুন, ২০১৭, ১২:৪৫ পিএম says : 0
উহা হয়তো আর উদ্ধার করা যাইবেও না।
Total Reply(0)
Abu Rashel ২১ জুন, ২০১৭, ১২:৪৬ পিএম says : 0
Er kaj to suru hoye gese sei taka to jonogoner dite hosse
Total Reply(0)
S. Anwar ২১ জুন, ২০১৭, ৯:৫৪ পিএম says : 0
উদ্ধার করা যাবে কেমন করে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন