শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ইসলামপুরের চৌমুহনী-গাবতল সড়ক

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খানাখন্দ সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে জমে পানি ভোগান্তিতে গ্রামবাসী
নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চাদপদ এলাকা চৌমুহনী-গাবতল সংযুক্ত মরহুম নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঁচা সড়কটি ব্রিকসলিং করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা সহ একাধিক গ্রাম রয়েছে। বিধ্বংস্ত কাঁচা সড়কে শত শত শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী চলাফেরা করে। উন্নয়ন না হওয়ায় পুরো সড়ক জুড়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা ভর্তি সড়কে গ্রামবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। গোল মোহাম্মদ পাড়ার কবির আহমদ সওদাগর বলেন, চৌমুহনী-গাবতল সংযুক্ত মরহুম নজরুল ইসলাম চৌধুরী সড়কের প্রবেশ মুখে সামান্য অংশ ব্রিকসলিং করা হয়েছে। বাকি প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ কাঁচা। এ সড়ক পথে পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলা ক্ষেত-খামার ও গ্রামে শত শত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তার জানান, দেশ স্বাধীনের পর গত সাড়ে ৭ বছরে উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড হলেও এ এলাকাটি অবহেলিত রয়ে গেছে। ধর্মগোদা পাহাড়ি পল্লী সহ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। নেই খাবার পানি ব্যবস্থা। সড়ক ব্যবস্থা খুবই করুন। মরহুম নজরুল ইসলাম চৌধুরী-ধর্মগোদা গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা সড়কে ঘাগড়া ছড়া, সূর্যঘোনা ছড়া ও হাতিমারা ছড়া রয়েছে। তিনটি ছড়া গস্খামবাসীর যোগাযোগে বড় বাঁধা। এয়াড়াও অধিকাংশ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। সড়কের পাশে সরকারী বন বিভাগের নিশ্চিন্তাপুর বিট অফিস রয়েছে। কাঁচা সড়কটি প্রস্থ কম থাকায় সরকারী গাছ পরিবহনে বন বিভাগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইসলামপুরের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলম বাবুল বলেন, যুগের পর যুগ ধরে এলাকাটি অবহেলিত ছিল। ধর্মগোদা পাহাড়ি পল্লী, মগাইছড়ি, হাতিমারা ও খোরশেদ তালুক সহ বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়ক। সড়ক সংস্কার ও মেরামতের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘাগড়া ছড়া, সূর্যঘোনা ছড়া ও হাতিমারা ছড়া’য় কালর্ভাট দ্রুত নির্মাণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন