রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শেষ মুহূর্তে গফরগাঁওয়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে : ঈদের আর কয়েকদিন দিন বাকী থাকলে ও গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানগুলোতে শেষ মূহুতে বেচা কেনা ধুম পড়েছে। প্রতিটি দোকানে নারী-পুরষ ও শিশু-কিশোরদের উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়। প্রতিটি শাড়ী কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানে ঈদকে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার মেয়েদের হরেক রকমের নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সাড়া জাগানো ভারতের বিভিন্ন সিনেমার নায়ক/নায়িকাদের নামে ডিজাইনের কাপড় শোভা পাচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন নাটকের চরিত্রের নায়ক-নায়িকাদের নামে ছেলে-মেয়েদের পোষাকে ভরপুর হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন নাম করণের ফলে কাপড় মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঝিলিক, পাখীসহ বিভিন্ন ধরনের নামের পোষাক। ফলে এগুলো নি¤œ শ্রেণীর পরিবারদের মধ্যে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাপড় কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। জুতার দোকানে ও বিক্রি কমতি নেই। নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের জুতা দোকানে শোভা পেয়েছে। কাপড় ও জুতার দাম বহু গুণ বৃদ্ধির ফলে নি¤œ শ্রেণীর ক্রেতাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। গফরগাঁও কলেজ রোডের সরকার ম্যানসন মার্কেটের ঐতিহ্যবাহী স্বপন শাড়ীকালয় দোকানের মালিক স্বপন জানান, ঈদুল ফিতরে বেচাকেনা বেশী হয়ে থাকে। আনন্দ উৎসবের মেতে উঠে সারা দুনিয়ার মুসলমান স¤প্রদায়। ধনী গরিবের মধ্যে কোন ধরনের মধ্যে কোন ধরনের ভেদাভেদ থাকে না। এছাড়া বারী প্লাজা, বেলাল মার্কেট, সরকার ম্যানসন, মর্জিয়া মার্কেট, হেকিম টাওয়ার, মুক্তা মার্কেট ও গোলন্দাজ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। গফরগাঁও শহীদ বেলাল প্লাজা মার্কেটে আসা ক্রেতা মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান, বছরের মধ্যে আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তাই এই ঈদকে কেন্দ্র করে কাপড়চোপর কেনা হয়ে থাকে বেশী। আনন্দ হয়ে থাকে বেশী। অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে কাপড়েরর দাম অনেক বেশী। গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার গুলোতে টেইলার্সের দোকানগুলোর শ্রমিক ও টেইলার্স মাষ্টার ঘুম বাদ দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বানানোর ধুম পড়েছে। গফরগাঁও মধ্য বাজারের মেসার্স শফিক সুজ জুতার দোকানের মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফিক) জানান, গত বছরের তুলনা এবারে জুতা বেশী বিক্রি হচ্ছে। সকলেই উন্নত মানের জুতা ক্রয় করছে। গ্রাম-এলাকার জনসাধারনের মধ্যে দিন দিনে রুচি বোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালের-বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় বাজারে আন্তর্জাতিক ডিজাইনের কাপড় তৈরী করা হচ্ছে। গফরগাঁও কলেজ রোডের বিশিষ্ট মনোহারীর দোকান মেসার্স মামুন স্টোরের মালিক মোঃ মোস্তফা জানান, এ বারের মাহে রমজানের শুরুতেই ডাল, ছোলা ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম কমে যাওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদের চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়েছে। ফলে এবারের রোজা কোন কিছু দাম বাড়েনি। রাজধানীসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বাজার গুলোতে সরকারের তদারকির ফলে কোন কিছুর দাম বাড়েনি। গফরগাঁও উলামা সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, পবিত্র রমজানে মাসে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে যাকাতে টাকা দেওয়া উত্তম । সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা আবার কেউ কেউ কাপড়-চোপর দিয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন