সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : বড়জোর আর দুইদিন পরই উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। পঞ্জিকার হিসাবানুযায়ী আগামী সোমবার হতে পারে ঈদ। হাতে থাকা এ দুই দিন কুমিল্লা নগরীর শপিংমল ও দোকানপাটে বেচাবিক্রির মহোৎসব চলবে। এরই মধ্যে নব্বইভাগ ক্রেতা শাড়ি, পোষাক, কসমেটিকস, জুতাসহ ঈদ উৎসবের অন্যান্য অনুষঙ্গের কেনাকাটা শেষ করেছেন। কিন্তু তারপরও নগরীর শপিংমল থেকে শুরু করে পথঘাটে নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোরের বহর গিজগিজ করছে। ব্যাগভর্তি ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ঘরে ফেরার পরও ক্রেতারা ভাবছেন কী যেনো একটা কেনা হয়নি। ফের মার্কেটমুখি হচ্ছে ক্রেতারা। এভাবে ক্রেতাভারে জমজমাট থাকছে নগরীর শপিংমলগুলো। রোজা শুরু থেকে টানা সাতাশ দিন ক্রেতারা কেনাকাটা করেছেন। শেষ সময়ে এসেও ক্রেতার ভাবনা-চিন্তা কী যেনো একটা কেনার বাকি রয়েছে। গত কয়েকদিন আষাঢ়ে বৃষ্টিতে ভিজেও ক্রেতারা কুমিল্লার সবকটি মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করেছেন। ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই নগররীর শপিংমল ও দোকানপাটে গিয়ে ইচ্ছেমত কেনাকাটা করেছে। দুরদুরান্ত আসা লোকজনের ভিড়ে সরগরম ছিল প্রতিটি দোকানপাট। হাজার হাজার ক্রেতার উপস্থিতি বিক্রেতাদের উচ্ছ¡াস কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। কিচিরমিচির শোরগোলে মার্কেটগুলোতে বিরাজ করছে বাড়তি আবহ। ক্রেতাদের চোখেমুখে নেই বিরক্তির ছাপ। স্বস্তিতে কেনাকাটা চলচে সবার। বিক্রেতারা মনে করেন, ঈদের আগের দুই/তিনদিনই জমজমাট বেচাবিক্রি হবে। গতকাল ঘুরে দেখা গেছে নগরীর মনোহরপুরের সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, আনন্দ সিটি সেন্টার, সুফিয়া ম্যানসন, সমবায় মার্কেট, সাইবা ট্রেড সেন্টার, কান্দিরপাড়ের চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট, টাইনহল সুপার মার্কেট, নিউমার্কেটের হকার্স মার্কেট, রামঘাট এলাকার কুমিল্লা টাওয়ার, রেইসকোর্সের ইষ্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজাসহ চকবাজার, রাজগঞ্জ, কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় বেশ আমেজের সাথেই ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। শপিংমল ও দোকনপাট ঘুরে জানা গেছে, ঈদের আর মাত্র দুইদিন বাকি। কিন্তু এখনো ক্রেতাদের কেনাকাটা থেমে নেই। বিক্রেতাদের এখন টার্গেট ঈদের আগের রাত, অর্থাৎ চানরাত। এই রাতে যারা আগে কেনাকাটা করেছে তারা এবং যারা সময়ের অভাবে করতে পারেনি তারাও কেনাকাটায় নামবেন। চানরাতে কেউ কেউ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে হৈ হল্লুর করে কেনাকাটা সারেন। চানরাতে বেচাবিক্রি চলে ঈদের দিন সুর্যোদয় পর্যন্ত। বিশেষ করে চানরাতে ক্রেতারা মার্কেটে এসে পোষাক-আশাক, জিনিসপত্তের বাছ-বিচার করেন না। মোটামুটি পছন্দ হলেই কিনে ফেলেন। এদিকে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেনাকাটা করেছেন। আবার বাড়ি গিয়ে দেখছেন আরো কিছু কেনার বাকি রয়েছে। ঈদুল ফিতর অনেক বড় উৎসব। তাই এ ঈদে কেনাকাটা শেষ হয়েও শেষ হয়না, মনে হয় কী যেনো কেনা হয়নি। তারপর আবার মার্কেটমুখি হওয়া। আবার কিছু না কিছু কেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন