বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তৎপর হয়ে ওঠেছে বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী

প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিএনপি’র একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্তে খবর গত ৫ মার্চ শনিবার “দৈনিক ইনকিলাব” অভ্যন্তরীণ পাতায় প্রকাশিত হয়। এরপরই বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা দলীয় মনোনয়নের আশায় জেলা নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট ধরনা দিচ্ছেন। একই সাথে স্থানীয়ভাবে নিজেদের পক্ষে নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জিয়ানগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবুর প্রার্থিতা অনেকটা চূড়ান্ত হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম রেজু, আজিজার রহমান মাস্টার, ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ঘোর লবিং অব্যাহত রেখেছে। গুনাহার ইউনিয়নের আব্বাছ আলীর পাশাপাশি সাবেক ছাত্রদল নেতা নূর ইসলাম, চামরুল ইউনিয়নের শাহ্জাহান আলী (মেম্বার) এর পাশাপাশি বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মনোয়ার হোসেন হেলালের পাশাপাশি বিএনপি নেতা মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার, দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের পাশাপাশি থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজাম দলীয় মনোনয়নের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোত্তালেব হোসেন মিন্টু মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা এর পরামর্শে ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তাদের মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ দিকে নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার নেতাকর্মীদের অভিমত দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপি’র এলাকা হিসেবে পরিচিত। জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবারই ধানের শীষের প্রার্থী জয়লাভ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়নে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিলে চেয়ারম্যান পদ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মাঝে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। উপজেলার ২ থেকে ৩টি ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রচারণায় তারা বেশ এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে তাদের নির্বাচনে বিজয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন