বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হরিণাকুন্ডুতে পৃথক ঘটনায় বিষপানে ৩ জনের আত্মহত্যা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় একই দিনে তিন জন আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলো- হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাকচুয়া লক্ষিপুর গ্রামের বিশারত আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫), একই গ্রামের মোঃ সাহা মালিথার স্ত্রী জাহারণ নেছা (৬৫) ও নিত্যানন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর লস্কারের স্কুল পড়–য়া ছেলে জীবন লস্কার (১৪)। এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর পরকিয়ায় কারণে প্রায়ই বিশারত আলী স্ত্রীকে মারধর করতো। বুধবার রাতেও তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেন সুফিয়া। বাকচুয়া লক্ষিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার ও ইকবাল হোসেন জানান, বিশরতের সাথে গোবিন্দপুর গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের পরকিয়া প্রেম চলছিলো। পরকিয়ায় বাঁধা দিয়ে স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতে হতো। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কেএম শওকত আলী জানান, হরিণাকুন্ডু উপজেলার বাকচুয়া লক্ষিপুর গ্রামের বিশারত আলীর সাথে তার বিয়াইনের পরোকিয়া ছিল। এ খবর তার স্ত্রী সুফিয়া জানতে পেরে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বিষপান করেন। তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে মৃত্যু বরণ করেন। এদিকে পড়ার কথা বলার কারণে মায়ের উপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র জীবন লস্কার। হরিণাকুন্ডুর ওসি কেএম শওকত আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পড়া নিয়ে তার মায়ের সাথে জীবনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দুপুরে বিষপান করে স্কুল ছাত্র জীবন। একই দিন উপজেলার বাকচুয়া লক্ষিপুর গ্রামে সাংসারিক গোলযোগের কারণে জাহারণ নেছা নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বিষপানে আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে সুফিয়া খাতুনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে কোন অভিযোগ না থাকায় জীবন লস্কার ও জাহারণ নেছার লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে ওািস জানান। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন