সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঝিনাইদহে ৫ মাসে ২২ লাশ উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ জেলায় গত ৫ মাসে ২২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন খুন হয়েছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ে তিন জনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্টর জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জঙ্গী বিরোধী অভিযান ও বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৪ জন। পুলিশের রেকর্ড থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। বিভিন্ন থানা ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৭ জন, শৈলকুপায় ৫ জন, কালীগঞ্জে ৩ জন, হরিণাকুন্ডুতে ১ জন, মহেশপুরে ৩ জন ও কোটচাঁদপুরে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারী শৈলকুপার হুদা মাইলমারী গ্রামে আসালত কবিরাজ নামে এক জনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১১ ফেব্রয়ারী শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গলাকেটে হত্যা করে হরিণাকুন্ডুর হিঙ্গেরপাড়া গ্রামের জামাল ওরফে ইছানুরকে, ৩১ মার্চ অচিন্তপুরের আমিরুল শেখকে, ১৩ এপ্রিল চাঁদপুর গ্রামের হাফিজুরকে ও ২৯ মে মদনডাঙ্গায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। ১২ ফেব্রয়ারী কালীগঞ্জের রাঢ়িপাড়া গ্রামে নুর ইসলামকে হত্যা করা হয়। ১৫ মার্চ একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে বিপুল ও ১২ মে খামারমুন্দিয়া গ্রামের ওবাইদুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৪ জানুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুরে শরিফুল, ১৬ মার্চ শহরের সোনালীপাড়ায় নুর আলমকে, ৩০ মার্চ গাগান্না গ্রামে বিশারত আলী, ৮ এপ্রিল তেতুলবাড়িয়া গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী মফিজ ও মানিক হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ৩১ মে শহরের হামদহ খোন্দকার পাড়া থেকে লামিয়া নুর নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৭ মে মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের অভিযানে নিহত হয় তুহিন ও আব্দুল্লাহ নামে দুই জঙ্গী। ৩১ মে মহেশপুরের কানাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গার নিহালপুর গ্রামের আরজুল্লার লাশ উদ্ধার হয়। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে ১৪ এপ্রিল খুন হয় হরিণাকুন্ডুর গোপিনাথপুরের মুকুল। তার লাশ একটি গর্তে পুতে রাখা হয়। ৩১ মে কোটচাঁদপুরের বহরমপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের কর্মী মাইদুল ইসলাম রানা ও আলিমুদ্দীন। এছাড়া ২৫ মে কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর গ্রামে পরকিয়া ঘটনার জের ধরে খলিল চেয়ারম্যানের ছেলে সাবুর মুখে জোর পুর্বক বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ সব হত্যাকান্ড ও লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ঝিনাইদহ পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, সারা জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি খুবই ভাল। তবে যে সব হত্যাকান্ড ঘটছে তা সবই সামাজিক বিরোধ ও পুর্ব শত্রæতার কারণে। তিনি দাবী করেন, সব হত্যার আসামী গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি রয়েছে। তিনি আরো বলেন জেলা থেকে মাদক, জঙ্গী ও পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশ অভিযানের কারণে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হেেছ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন