শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চাঁদপুরে পন্টুন বিচ্ছিন্ন লঞ্চঘাট

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : বিআইডব্লিউটি তথা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চাঁদপুরের কানুদী লঞ্চ ঘাট। ঘাট আছে, যাত্রী উঠানামা করে, ঘাট নিলাম হয়, কিন্তু নদী তীর থেকে ঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন। প্রতিবছর ঘাট ইজারা দেয়া হলেও যাত্রী সেবা নেই এক কড়িও। উল্টো অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় যাত্রীদের। মে মাসে ১লাখ ৬ হাজার টাকায় ঘাট ইজারা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ঘাটে প্রতিদিন ১৪টি লঞ্চ থামে। বিশেষ করে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ পথের লঞ্চগুলো এখানে যাত্রী নামায় এবং উঠায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ’ যাত্রী উঠানামা করে ঘাট থেকে। বিশেষ বিশেষ সময়ে তথা ঈদ পূজা পার্বণে যাত্রী সংখ্যা প্রায় হাজার ছাড়িয়ে যায়। ঘাটে যাত্রী প্রতি উঠতে নেয়া হয় ১০টাকা আর নামতে ৫টাকা। যদিও সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে ৫টাকা। অথচ সেবা নেই এক টাকারও। ঝুঁকি নিয়ে ঘাটে যাত্রী উঠা নামা করায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনা নদীর তীর থেকে অন্তত ৫শ’ ফুট দূরে পন্টুনটি ভাসছে। নদী তীরে একটি ট্রলার রাখা হয়েছে যাত্রী পন্টুনে পৌছে এবং নামিয়ে দিতে। এটি সরকারি অনুমোদিত ঘাট তা কোনোভাবেই বিশ^াস যোগ্য ঠেকে না। কোনো সিঁড়ি নেই, খুঁটি নেই, নেই কোনো সংযোগ সড়ক। স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রী মোঃ কালাম বেপারী, রহিম খাঁ, দুলাল দাসসহ আরো অনেকেই জানান, আমাদের লঞ্চে উঠতে খুব কষ্ট হয়। ভোগান্তির শেষ নেই বললেই চলে। ইজারাদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি ট্রলার দিয়ে নদীপাড় থেকে যাত্রী পন্টুন নিয়ে আসলে বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চ পন্টুনে ভিড়েছে, তীরে যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ট্রলার বা নৌকা পন্টুন থেকে তীরে না আসায় যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে পারছে না। একই ভাবে পন্টুন থেকে যাত্রীরাও ট্রলার বা নৌকার অপেক্ষায় থেকে দাঁড়িয়ে থাকে। এই ভাবেই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই চলছে কানুদি লঞ্চ ঘাট।
ঘাট ইজারাদার প্রতিনিধি আলাউদ্দিন বাবু জানান, আমরা বারবার বন্দর কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু ঘাট উন্নয়নে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাত্রীসেবা দিতে ট্রলার ভাড়া নিয়েছি। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেয়া হয় তা ট্রলার ভাড়া মেটানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তারপরেও আমার সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।
বিআইডবিøউটিএ’র চাঁদপুরের উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘাটের আয় লাখ টাকার মতো। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার পন্টুন দেয়া আছে। এই একটা পন্টুনের জন্যে আর কি করার আছে বলে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন