নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুরে ঈদুল ফিতরকে ঘিওে কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে যাত্রীরা অসহায় সাধারণ যাত্রীরা। আগাম টিকিট নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকের।
গতকাল রোববার সকালে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ধরনা দিচ্ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি এসেছিলেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসের একটি টিকিটের জন্য। কিন্তু হতাশ হলেন। লাইনে দাঁড়ানো ওই ব্যক্তিকে জানানো হলো, টিকিট নেই। পরে বেশ কিছুক্ষণ পর আবার দেখা হলো ওই ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি শোভন চেয়ার আসনে ৪৫৫ টাকার টিকিট সংগ্রহ করেছেন এক হাজার টাকায়।
রেলওয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টি সৈয়দপুর শাখার সভাপতি আব্দুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, গত তিনদিন ধরে স্টেশনে আসছি। নীলসাগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছে, তবুও বলা হচ্ছে টিকিট নেই। প্রতিদিন সকাল ৬টায় লাইনে দাঁড়ান, বিকাল পর্যন্ত থাকেন তিনি। টিকিট কাউন্টারের বুকিং ক্লার্ক বার বার বলেন, ইন্টারনেট সার্ভার খারাপ। সৈয়দপুরের টিকিট অন্য স্টেশনে বিক্রি হয়ে গেছে, আমাদের করার কিছু নেই। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনসূত্র জানায়, সৈয়দপুর হচ্ছে রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ততম শহর। সে বিবেচনায় নীলসাগর আন্তঃনগর ট্রেনে সৈয়দপুরের অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে ১১২টি শোভন চেয়ার আসন। আরো আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাথ আসন ১০টি, শীতাতপ চেয়ার আসন ২৫টি, শীতাতপবিহীন প্রথম শ্রেণির ৬টি বাথ এবং ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত কোচে ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেশনের একজন কর্মচারী জানান, টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঈদুল ফিতরকে ঘিরে এসব টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম জানান, বরাদ্দ টিকিটের চেয়ে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। গড়ে একটি টিকিটের বিপরীতে ১০০ যাত্রী লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি টিকিট কালোবাজারির কথা অস্বীকার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন