সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সনদ জালিয়াতির অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষকের এমপিও স্থগিতের নির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে : সনদ জালিয়াতি এবং প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাতক্ষীরার এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী সেলিনা সুলতানাসহ পাঁচ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩ জুলাই সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানসহ পাঁচ শিক্ষক নিয়োগের প্রাপ্যতাবিহীন পদে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হন। এদের মধ্যে অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী সেলিনা সুলতানা সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্ত হন। এছাড়া নিয়োগকালে তার কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাও ছিল না। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতি করেন বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়। একইভাবে, হুমায়ুন কবির ইসলামের ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরিসংখ্যানে, সুরাইয়া সুলতানা ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে এবং শাহজাহান কবির ভ‚গোলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোলে এমপিওভুক্ত হন। আর কলেজের অধ্যক্ষ প্রাপ্যতাবিহীন পদে এসব শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন অগ্রায়ন করেন। এমতাবস্থায়, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামানসহ উল্লিখিত পাঁচ শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করে কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না মর্মে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই আদেশে শিক্ষক সেলিনা সুলতানা, হুমায়ুন কবির, সুরাইয়া সুলতানা ও শাহজাহান কবির কর্তৃক এ যাবত গৃহীত সমুদয় অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই অর্থ আদায়ে দরকার হলে পিডিআর এ্যাক্ট, ১৯১৩ অনুযায়ী মামলা দায়েরের কথাও বলা হয়েছে আদেশে। এছাড়া, শিক্ষক সেলিনা সুলতানার নিয়োগ বাতিল ও সনদ জালিয়াতির জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের লক্ষ্যে কলেজের গভর্নিং বডিকে নির্দেশনা প্রদান করতে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখেছি এবং জেনেছি। তবে নোটিশটি আমি এখনও হাতে পায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন