শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাবেক ওসি মাইনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

মদ্যপ অবস্থায় হোটেলে তান্ডব

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) খুলশী থানার সাবেক ওসি মাইনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় হোটেল সেন্টমার্টিনের রুম বয় ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ আজ (বৃহস্পতিবার) তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। মারধরের শিকার হোটেলের ৪ কর্মী, কর্মকর্তা ও ৮ পুলিশসহ মোট ২২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ এবং হোটেল ও সড়কে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পুরো ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য এমন তথ্য জানিয়ে ইনকিলাবকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হচ্ছে। ব্যতিক্রম কিছু না হলে ওই কমিটি তাদের বেধে দেয়া সময়ের আজ শেষ দিনে সিএমপির কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহারের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেবে।
গত ৫ জুলাই সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) ও গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শককে। পুলিশ কমিশনার কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত পরিদর্শক মাইনুল গত ৩ জুলাই গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় নগরীর আগ্রাবাদের হোটেল সেন্ট মার্টিনের রুম বয়সহ চার কর্মী এবং ডবলমুরিং থানার এক এসআইকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
জানা যায়, মাইনুল ওই হোটেলে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মদপান করতে যান। গভীর রাতে তিনি একটি বিদেশী ব্র্যান্ডের মদের অর্ডার দিলে তা দিতে ব্যর্থ হলে প্রথমে রুম বয়কে মারধর করেন। মধ্যরাতে তার হামলার শিকার হয় হোটেলের অন্তত চার কর্মী। হোটেলের সামনের সড়কে রাত্রিকালীন টহল ডিউটি করা ডবলমুরিং থানা এসআই সৈয়দ আলমকে তিনি মারধর করেন। সৈয়দ আলম বিষয়টি উপ-পুলিশ কমিশনারকে জানালে পুলিশ কর্মকর্তারা ওই হোটেলে ছুটে যান এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ কমিশনার তদন্ত কমিটি গঠন করেন। খুলশী থানার ওসি থাকাকালে চসিক নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনের পরে সদরঘাট থানার ওসির দায়িত্ব পান মাইনুল। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে তার স্ত্রীসহ থানায় এনে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগে থানা ঘেরাও করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ছাত্রলীগের ওই সাবকে নেতা। আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি রফাদফা হলেও তাকে ওই থানা থেকে সরিয়ে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। মাইনুলের বিরদ্ধে অভিজাত খুলশী এলাকায় গেস্ট হাউসের নামে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠে। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত ওই গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য ও আপত্তিকর অবস্থায় বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে আটক করে। এত অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন