পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালিপনায়
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় কলারোয়ার জনসাধরণ চরম ভাবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, টাকা ছাড়া পল্লী বিদ্যুতে কোন কাজ হয় না। লিফলেট ছড়িয়ে কোন দালালের খপ্পরে পড়ে বা পল্লী বিদ্যুতের কোন কর্মচারী, কর্মকর্তা বা পরিচালকের হাতে বিদ্যুত সংযোগ নেওয়ার জন্য বা অন্য কোন কাজে ঘুষ না দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হলেও কাজে এর বিপরীত ঘটছে। কারণ টাকা না দিলে কোন কাজ হয় না। ঘুরে ঘুরে হয়রানী হয়ে শেষে গোপনে ঘুষের রাস্তা ধরতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কলারোয়ার লাঙ্গলছাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি জানায়, তাদের গ্রামে বেশ কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন চেষ্টা করে বিদ্যুত সংযোগ না পায়নি। শেষে এক নেতার স্মরণাপন্ন হয়ে বাড়ি প্রতি ৩ হাজার করে চাঁদা তুলে দিতে হচ্ছে। চান্দুড়িয়ার নজরুল জানায় মাত্র দুটি খুটি হলে তাদের ২০ বাড়ি বিদ্যুত পৌঁছানো সম্ভব। এজন্য সে নিয়ম মাফিক আবেদন করে। কয়েকদিন পরে পল্লী বিদ্যুতের মাদ্রা গ্রামের ইলেক্ট্রিশিয়ান শিমুল যেয়ে জানায়, এভাবে ব্যক্তিগত আবেদনে বিদ্যুত সংযোগ হবে না। এদিকে দক্ষিণ সোনাবাড়িয়া গ্রামের আরাপ আলী জানায়, সম্প্রতি ব্যপক ভাবে বজ্রপাতের সময় তার বাড়ির মিটার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে জ্বলে যায়। গত ৫ জুলাই নতুন মিটারের জন্য ১৫০ টাকা জমা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সেই মিটার দেওয়া হয়নি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমনিক ১০টায় গ্রামাঞ্চলে মাইকিং করা হয়েছে জরুরী মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য ১৪ জুলাই রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখার কয়েক ঘণ্টা আগে মাইকিং করায় বহু পরিবার বিপাকে পড়বে। অনেক পরিবারের সদ্য কেনা মাছ মাংস সহ অন্যান্য পচনশীল খাদ্য দ্রব্য বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন সন্ধার পরে গ্রামাঞ্চলে এক/দেড় ঘণ্টা লোডশেডিং নিয়মিত ব্যাপার হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামগজ্ঞের দোকানপাটের ব্যবসা বাণিজ্য ঘর গৃহস্থলীর কাজ কর্ম এবং ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া চরম ভাবে বিঘœ ঘটছে।
মন্তব্য করুন