বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তানোরে সাড়ে দশ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে চলতি শিক্ষাবর্ষে একযোগে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে শরীর চর্চা, কর্মজীবন ও চারু-কারু কলা এই তিনটি বিষয়ে কোনো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। এদিকে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা না নেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। অপরদিকে শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্বর কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থার বিরাজ করছে। এছাড়াও তিনটি বিদ্যালয় নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরী করে পরীক্ষা নিচ্ছেন তবে নীতিমালা লঙ্ঘন করে শিক্ষক সমিতির তৈরী প্রশ্নপত্র দিয়ে বাকি বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অথচ শিক্ষা আইনে স্পষ্ট বলা আছে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট স্কুলেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে ব্যতিক্রম করা যাবে না। আবার বিদ্যালয়ে মেধা অন্বেষণের জন্য ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে শরীর চর্চা, কর্মজীবন, ও চার-কারুকলা বিভাগে পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি বছরের ৬ জুলাই থেকে একযোগে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তানোরে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক ৫৯টি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ. ৭ম ও ৮ম শ্রেণির মোট ১০ হাজার ৪৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। কিন্তু শরীর চর্চা, চারু-কারু কলা ও কর্মজীবন তিনটি বিষয়ে কোনো পরীক্ষা নেয়া হয়নি। চলতি বছরের ১৬ জুলাই রোববার ছিল কর্মজীবন মূখী শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা। কিন্তু এদিন এবিষয়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়াও চারু কারু কলা, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এবং নবম-দশম শ্রেণির ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কোনো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। অথচ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুযায়ী জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এই কয়টি বিষয়ে কোন লিখিত পরীক্ষা হবে না, তবে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তানোরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্বর কারণে এসব পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, সমিতির তৈরী প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার বিধান নেই, তারা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এসব প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্কুলে দিয়েছেন। তাদের প্রশ্নপত্রে যদি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে, এর বতিক্রম হলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে শিক্ষক সমিতি তানোর শাখার সভাপতি ও চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, আমার স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে প্রশ্নপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত নয় মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, এ বিষয়ে আমার অজানা তবে খোজ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তিনি বলেন, স্কুলের কোন এখতিয়ান নেই পরীক্ষা বাতিল করার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন