শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক নৌ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে নিজ কার্যালয় থেকে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ আটক হন তিনি। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল। আমাদের একটি টিম তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। গতকাল দুপুরে তার কার্যালয়ে ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক হন তিনি। বর্তমানে তাকে মতিঝিল থানায় নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, ঘুষ না পেলে তিনি নৌযানের নকশা অনুমোদন করতেন না। নৌযানের আকারভেদে ঘুষের এই হার ওঠা-নামা করত। নৌযান ছোট হলে ঘুষের দর কম। আর আকার বড় হলে ঘুষের দরও বেড়ে যেত কয়েক গুণ। দুদক সূত্র জানায়, নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জমা দিয়েছেন এমন এক ব্যক্তি দুদকের কাছে অভিযোগ করেন যে, নৌযানের নকশা অনুমোদন করে দেয়ার বিনিময়ে ফখরুল ইসলাম তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষ দেয়াও অপরাধ, তাই তিনি ঘুষ দেবেন না। ওই ব্যক্তির অভিযোগ পেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। গতকাল ফখরুল ইসলামের কার্যালয়ে দুদকের লোকজন ছিল। দুপুরে নিজ কক্ষে বসে তিনি ঘুষের পাঁচ লাখ টাকা নেন। ভেতর থেকে সঙ্কেত পেয়ে দুদক সদস্যরা ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করেন। নৌযানের প্রকারভেদে তার ঘুষের রেটও ভিন্ন। পাঁচ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের রেট ওঠানামা করে। ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু অভিযোগ আছে। এগুলো কমিশনের নজরে এনে অনুমোদন নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে বলে সূত্র জানায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
S. Anwar ১৯ জুলাই, ২০১৭, ৯:১০ এএম says : 0
ঘুষ যে-ই গ্রহন করুক না কেন, ভাগের অংশ নাকি বহু উপরে পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাই আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি মতে তদন্তস্বাপেক্ষে উপরস্থ রাঘবদেরও ধরা হোক।
Total Reply(0)
mamun ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১১:৫০ এএম says : 1
thanks dudak
Total Reply(0)
Nill ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০৮ পিএম says : 0
ওনাকে গ্রেফাকার দেখায় ২টি কাজ হইছে “আওয়ামীলীগ পন্থি কর্মকর্তা নন এবং দুদক কতটা তৎপর দূর্নীতির বিরুদ্ধে” এক ঢিলে দুই পাখি। নিরপেক্ষ ভাবে দুদক কাজ করলে বাংলাদেশে এক একটি জেলায় ৫টি করে জেল হাজতের প্রয়োজন হবে।
Total Reply(0)
Md Anamul Haque ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:৪৯ পিএম says : 1
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ হউক আমাদের একমাত্র স্লোগান
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন