সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে রায়পুর ডাকঘরের কার্যক্রম

পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারুনুর রশিদ, রায়পুর (ল²ীপুর) থেকে : ভেজা স্যাঁতসেঁতে ছাদ। পলেস্তারা খসে ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। দেয়ালেও বড় বড় ফাটল। এই চিত্র রায়পুর উপজেলার এক মাত্র প্রধান ডাকঘরের। এর মধ্যেই চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকঘরের পলেস্তারা খসে ছাদের কয়েকটি স্থানে ঢালাইয়ের রড বের হয়ে গেছে। ছাদের বিমে ফাটল ধরেছে। সিলিং ফ্যানের হুকগুলোয় মরিচা ধরেছে। গত বছর হুক খুলে একটি সিলিং ফ্যান খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ওই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি। প্রায় সময় পলেস্তারা খসে পরে। কর্মকর্তারা এখন একদিন এক এক স্থান ব্যবহার করেন। কার্যালয়টির দেয়ালেও বড় বড় ফাটল ধরেছে। ভবনের মেঝের ঢালাই উঠে গিয়ে তা দেবে গেছে। বর্ষার সময় কার্যালয়ের কাগজপত্র সব সময় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। বৈদেশিক ও ই-মোবাইলে টাকা লেনদেনের জন্য স¤প্রতি ডাক বিভাগ কম্পিউটার দিয়েছে এ কার্যালয়ে। সেটিও পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাঁচ কক্ষের এ জরাজীর্ণ ডাকঘরটিতে কার্যক্রম চালানো চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কার্যালয়ের পাশে পোস্টমাস্টারের আবাসিক ভবন। ওই ভবনটিরও একই অবস্থা। ডাকঘরে সঞ্চয় হিসাবের টাকা নিতে আসেন রুস্তম আলী কলেজের শিক্ষীকা বিথী অধিকার বলেন, প্রতি মাসে একবার পোস্ট অফিসে আসতে হয়। ভবনের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকলে বুকের ভেতর ধড়ফড় করে। খানিক পরপর ছাদ থেকে বালু ঝুরঝুর করে মাথায় পড়ে। দেয়ালের ফাটল দিয়ে বাইরে থেকে অনায়াসে সাপ ঢুকে পড়তে পারে।
শহরের তাহমিনা হায়দার বলেন, ‘বেশি লাভের আশায় ব্যাংকে টাকা না রেখে পোস্ট অফিসে রেখেছি। অনেক দিন ধরে পোস্ট অফিসের এ অবস্থা। দেখে মনে হয় পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। গেলে বলে এই খানে বসবেন না, পলেস্তারা খসে পড়বে। দুর্ঘটনায় গ্রাহক মারা গেলে তাঁদেরই বা কি!’ রায়পুরের কর্মরত পোস্টমাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে এ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। চিঠিপত্রের কাজের চেয়ে এখানে টাকা লেনদেনের ভিড় বেশি। এ কার্যালয়টি প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। চাকরি করেন বলে সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছে। কোনো সুস্থ মানুষ এসব ভবনে থাকবেন না। তিনি একাধিকবার ভবনের এ দুর্দশা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল মেলেনি। ল²ীপুর জেলার প্রধান ডাকঘরের পরির্দশক আব্দুল রহমান মুঠোফোনে বলেন, রায়পুর উপজেলার ডাকঘর ভবনের অবস্থা চট্টগ্রামের প্রধান ডাকঘরের ভবন নির্মাণ বিভাগে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই সংস্কারের কাজ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন