কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গাজিপুরস্থ কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি পদদলিত করে ভাংচুরের ঘটনায় কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সারোয়ার বাবু ও তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মুরাদসহ ১৬ জনকে আসামী করে তিতাস থানা গত ২৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিতাস থানার এস আই কমল মালাকার ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে জসিম, মহসিন ও রুবেলকে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ দলের নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা হামলাকারী হোতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম অফিসে বসে একটি প্রোগ্রামের ব্যাপারে ফোনে নেতাদের সাথে কথা বলছিল। এসময় যুবলীগের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিসের চেয়ার-টেবিল ও বঙ্গবন্ধু -প্রধানমন্ত্রীর ছবি পদদলিত করে ভাংচুর করে। এসময় নজরুল বাধা দিতে গেলে তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। এদিকে ঘটনার পর পরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীসহ এলাকার শত শত মানুষ ঢাকা-হোমনা সড়ক অবরোধ করে হামলার প্রতিবাদ জানান। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ জেলা যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন বাবু ও উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মুরাদ এখানকার আওয়ামী রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, বছর দেড়েক আগে যুবলীগের এই দুই নেতার নেতৃত্বে তিতাস থানার এসআই জহিরকে ধরে আনতে থানা ঘেরাও করেছিল। এই ঘটনায় পুরো এলাকার রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন