শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বন্যহাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে অভিনব কৌশল

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাপ্তাইতে ৪ মাসে তিনজনের মৃত্যু, বহু পথচারী আহত, বন বিভাগের উদাসীনতা
কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : কাপ্তাই উপজেলা বনাঞ্চলে সর্বত্র বন্যহাতিগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত চার মাসে বন্যহাতির আক্রমণে তিনজনে মৃত্যু এবং বহু লোক আহত হওয়া নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাতির আক্রমণ হতে বাঁচার জন্য অভিনব পন্থা অবল¤¦নে কর্তব্যরত বনপ্রহরীরা ঐ ফাঁদে আটকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকার লোকজন বন বিভাগের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জ। এ রেঞ্জের নৌবাহিনী রোড, কামিলাছড়ি, জীবতলী, কাপ্তাই সদর বিট, শুকনাছড়ি, ব্যাংঙছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছরজুড়ে বন্যহাতির আক্রমণে সরকারি লোকসহ তিনজন মারা যায় এবং বহু পথচারী আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে।
৩০-৪০টির মতো একটি বন্যহাতির দল প্রায় কাপ্তাই রেঞ্জের বনাঞ্চলসহ লোকালয়ে এসে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পরপর এ নিয়ে লোকালয়ে তিনজনকে আক্রমণ করে মৃত্যু ঘটিয়েছে। প্রতিদিন নৌবাহিনী এলাকা সড়ক ও কাপ্তাই হতে রাঙামাটি নতুন সড়ক আতঙ্কের সড়কে পরিণত হয়েছে। এদিকে এ সড়কে প্রতিনিয়ত বন্যহাতির আক্রমণে গাড়ি চলাচল ও সাধারণ লোকজনের চলাচল প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। আহত ও নিহত পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, এ ধরনের হাতির তান্ডব নিয়ে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও হতে অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় কেউ না কেউ হাতির আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। কাপ্তাই হতে নৌবাহিনী সড়কের সিএনজিসহ বিভিন্ন চালকরা অভিযোগ করেন এ আতঙ্ক আর কত দিন চলবে। বারবার হামলা, রাস্তা অবরোধ করে রাখায় এ সড়কপথ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন এত সব জানার পরও নীরব ভ‚মিকা পালন করছে।
সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই বন্যহাতির আক্রমণে নৌ বাহিনীর এক সৈনিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এদিকে হাতির আক্রমণ হতে বাঁচার জন্য কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের আবাসিক এলাকার পাশে, বন বিভাগে কর্তব্যরত এক লোক পাঁচ ইঞ্চি লোহা মাটির নিচে অভিনব পন্থায় উল্টো করে গেঁথে রাখে। কারণ এ পথ দিয়ে হাতি চলাচল করে তাই। এ পথ দিয়ে কর্তব্যরত কাপ্তাই সদর রেঞ্জের বন প্রহরীরা রাতে উিউটি করার জন্য পথ চললে ঐ হাতির ফাঁদে পড়ে বন বিভাগের বন প্রহরী আলাউদ্দিন এবং ননী গোপাল আশ্চার্য গুরুতর আহত হয়। এদিকে কাপ্তাই সদর বিট কর্মকর্তা রফিকুল হায়দার বলেন, হাতি কোথায় যাবে তারা বনজ সম্পদ বনের বিভিন্ন এলাকায় বিরাজ করে। আর একশ্রেণীর লোক হাতিকে মারার জন্য চলাচলের পথে পেরেক গেঁথে যে জঘন্য কাজ করছে তা ঠিক করেনি। হাতি তো মরেনি ঐ ফাঁদে পড়ে আটকা পড়ে মানুষ আহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন