শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ফিরোজ হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন

| প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের ফিরোজ হত্যা মামলায় ৩ জনকে ফাঁসি ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ আদেশ দেন। আদেশে আসামী মো: সাহিনুর রহমান শানু মোল্লা, রেজাউল খা ও মিজান বেপারীকে ফাঁসির আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামী রেক্সনা বেগম, নিজাম আকন, সুমন সেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতুব্বর, লিমন তালুকদার ও মো: রাসেল কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন তিনি। আসামীদের সকলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী এলাকায়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও পিপি এড. খান মো: আলাউদ্দিন জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের ফিরোজ মাঝি (২২) এর বোন রিমু আক্তারের সদর উপজেলার ধুপপাশা এলাকায় বিয়ে হয়। এর কয়েকদিন পর থেকে কালিকাঠী এলাকা আসামীরা ফিরোজ ও তার মা নাসিমা বেগমকে পুনরায় রিমিকে তার স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে এসে রেজাউলের সাথে বিবাহের কথা বলে। কিন্তু নাসিমা বেগম ও ফিরোজ মাঝি বিষয়টি না মেনে নিলে তাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরেই ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ফিরোজ মাঝি শিকদার মল্লিক এলাকার একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল ফিরোজ মাঝির মা নাসিমা বেগম বাদী ১০ জনকে আনাসী করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দালে করে। পরে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় এসআই বাদল কৃষ্ণ দাস এ মামলার ১০ জনকে আসামী করেই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
পিপি খান মো: আলাউদ্দিন আরো জানান, এ মামলায় বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডাক্তারসহ মোট ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ রায় ঘোষনার সময় আদালতে আসামীদের মধ্যে মোট ৮ জন উপস্থিত ছিলেন এবং ফাঁসি দন্ড প্রাপ্ত আসামী শানু মোল্লা ও রেজাউল খা পলাতক ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন