পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মুরশাদ সুবহানী ও এস.এম. রাজা : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাধীন সাঁড়া ইউনিয়নে পদ্মা নদী ভাঙনরোধে নির্মিত বাঁধে কাজ শেষ হওয়া এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা, নদীর পাড় থেকে বালি কেটে তা স্তুপ করে রাখায় বাঁধের প্রতিরোধক সিসিবøকগুলো ধসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বাঁধের ধসের খবর শুনে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও সহকারী ভূমি কমিশনার শিমুল আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই বাঁধ ধসের খবরে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি সমগ্র উপজেলা এবং ঈশ্বরদী শহওে প্রবেশ করার আশংকা রয়েছে।
সূত্র মতে, ২০১৩ সালে নাটোর জেলার লালপুর এলাকার তিলকপুর থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত এবং ঈশ্বরদীর পাকশী সাঁড়া ইউনিয়নের কোমরপুর থেকে সাঁড়াঝাউদিয়া রেলের গাইড বাঁধ পর্যন্ত পদ্মা নদী তীরে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই কাজে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়, ২২৬ কোটি টাকা। এ বছর ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু কাজ শেষের একমাস না যেতেই বাঁধে ধস নেমে আসে। ঝাউদিয়া এলাকায় বাঁধের প্রায় ২০ ফুট এলাকা থেকে সিসি বøক ধসে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বাঁধের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি বøক সরে গিয়ে ধস দেখা দিয়েছে। মানুষের মনে আতংক বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পরিদর্শনে তিনি বাঁধের কিছু অংশে ধস দেখতে পেয়েছেন।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, কাজে কোন প্রকার গাফলতি হয়নি। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মাটি ও বালু সরে যাওয়ায় সিসি বøকের কিছু অংশ দেবে গেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে তা ঠিক করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন