শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পৃথক হলো যমজ শিশু তোফা ও তহুরা

ঢাকা মেডিকেলে অস্ত্রোপচার

| প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জোড়া লাগা দশ মাস বয়সী যমজ শিশু তোফা ও তহুরাকে সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে আলাদা করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এখন পর্যন্ত দুই শিশু সুস্থ আছে। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিই) রাখা হয়েছে। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তোফা ও তহুরার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। বেলা আড়াইটার দিকে অস্ত্রোপচার শেষ হয়।
শিশু দুটোর অস্ত্রোপচারে বিভিন্ন বিভাগের ১৬ জন সার্জন যুক্ত ছিলেন। চিকিৎসক রাজিউল হাসান, এস এম শফিকুল আলম, অসীত চন্দ্র সরকার, আশরাফুল হক, আব্দুল হানিফ ও কানিজ হাসিনা সাংবাদিকদের জানান, দুই শিশুর স্পাইনাল কর্ড, মেরদন্ড, পায়খানার রাস্তা ও প্রসাবের রাস্তা আলাদা করা হয়েছে। জন্মের পর থেকে ১০ মাস তোফা ও তহুরা একসঙ্গে বড় হয়েছে। পিঠের কাছ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। দুজনের পায়খানার রাস্তা ছিল একটি। তবে মাথা-হাত-পা ছিল আলাদা।
তোফা-তহুরা যেভাবে জোড়া লাগানো ছিল, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’।
শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটি প্রথম। এর আগে অন্যান্য হাসপাতালে তিন জোড়া শিশুকে অস্ত্রোপচার করে আলাদা করা হয়েছে, তাদের ধরন ছিল আলাদা।
শিশু সার্জারি বিভাগের প্রফেসর আব্দুল হানিফ বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তোফা ও তহুরার জ্ঞান ফিরেছে। তাদের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না। তাদের যে কোনো সময় সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। তাই তাদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে অযথা ভিড় না করতে সবার প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়া ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের যমজ সস্তানের জন্ম হয় জোড়া লাগানো শরীর নিয়ে। জন্মের আট দিনের মাথায় শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে প্রথমে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের মলদ্বার আলাদা করা হয়। দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষা ও প্রস্তুতির পর মঙ্গলবার সকালে তোফা ও তহুরাকে আলাদা করার অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকার।
দুই শিশুর বাবা মো. রাজু বলেন, তার বিশ্বাস তাদের দুই শিশু তাদের কাছে ফিরে আসবে। আমিতো গরিব মানুষ। ক্ষেতে কাজ করি। কারো কোনো ক্ষতি করি না। খোদাও আমাগো দেখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নিজাম উদ্দীন ২ আগস্ট, ২০১৭, ৪:১৬ এএম says : 0
ইনকিলাব কে দন্যবাদ এই খবর লেখার জন্য
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন