সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রগুলোয় ডাক্তার শুন্য থাকায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গেছে, সরকার পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে পল্লী অঞ্চলে সেবা প্রদানের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ডাক্তার নিয়োগ দেন। ডাক্তাররা নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর স্ব-কর্মস্থল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রগুলোতে সেবা প্রদান না করে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে তদবির করে ডিপুটিশনে এসে সেবা প্রদান করে আসছেন। এতে করে পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতেও আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ মাত্র ৩ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। এতে করে বিভিন্ন সময় চিকিৎসার জন্য আগত সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জুরুরী বিভাগ সহ মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেটগুলোর দিকে তাকানোর পরিবেশ নাই। এদিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি থেকে স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বদলী জনিত কারণে অন্যত্র চলে গেলে শুধুমাত্র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিশে^শ^র চন্দ্র বর্মন রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এনিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আহম্মদ আল মামুন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২১ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও প্রায় সবগুলো শুণ্য রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত এক্সরে ও ইসিজি’র যন্ত্রাংশগুলো ব্যবহার না করায় দিন দিন অকোজো হয়ে পড়ছে। এতে করে সাধারণ মানুষ সঠিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালে আসা আগত রোগীদের অভিযোগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পর্যায় ক্লিনিক ব্যবসা না থাকায় হাসপাতালে ডাক্তাররা এসে বদলী নিয়ে অন্যত্র চলে যান।
মন্তব্য করুন