কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাইস্থ কর্ণফুলী রেঞ্জ লোকবল সঙ্কটের ফলে বিশাল বনজ সম্পদ চরম ঝুঁকিতে পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে বনজ সম্পদ। পার্বত্য চটগ্রামের সবচেয়ে বেশি বন সম্পদ এবং বহু বছর পুরাতন বড় বড় জাতি গাছ এখনো কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জ এলাকায়। এ রেঞ্জে আট হাজার ৭৪.২৪ একর বিশাল জায়গা নিয়ে কর্ণফুলী রেঞ্জের বিশাল সম্পাদ রক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৪একর নদী এলাকা অউৎপাদসম্পাদ, বিউবোকে দেওয়া হয়েছে ৮৪৯.৬৪ একর এবং বর্তমানে আছে ৬ হাজার তিনশত ১৭.৬৪একর।
উক্ত রেঞ্জের আওতাধীন কর্ণফুলী সদর বিট, খালের মুখ বিট, ফ্রিং খ্রিং বিট, চাকুয়াপাড়া বিট, কালমি ছড়া বিট ও ব্রিকফিল্ড বিটে যে পরিমাণ লোকবল থাকার কথা সে তুলনায় লোকবল না থাকায় বিশাল বনজ সম্পাদ পাহাড়া দিতে প্রশাসনকে প্রতিনিয়ত হিমহিশ খেতে হচ্ছে। প্রতি বিটে ২ থেকে ৩ জন লোক দিয়ে বিশাল সম্পাদ পাহাড়া দিতে হয়। এ সকল বিটে পাহাড়া দিতে প্রায় ১০/১২জনের মত লোকবল থাকার কথা কিন্তু তুলনা অনুযায়ী খুবি কম। দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ কর্তব্যরত বনপ্রহরী ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। নেই কোন ঝুঁকি ভাতা, নেই কোন প্রাথমিক দ্রæত চিকিৎসা সেবা। তবুও চাকরি ক্ষেতে বন সম্পাদ রক্ষা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাত এবং প্রবাল বর্ষণে পাহাড় ধসে অনেক গাছ পাহাড়ে মধ্যে পড়ে আছে তা প্রতিনিয়ত পাহাড়া দিতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। এদিকে কর্ণফুলী রেঞ্জের বিশাল শাল বাগানটি পাহাড় ধস, পাহাড়ী ঢল এবং স্প্রীলওয়ে ছাড়ার কারনে এ বিশাল সম্পাদ পানির নিচে তলিয়ে বিলীন হচ্ছে। সরকারের এ সম্পদ রক্ষার্থে কর্ণফুলী রেঞ্জের প্রতিটি বিটে জনবল বাড়িয়ে দেওয়া অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। এদিকে কর্ণফুলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মালেক শেখ বলেন, আমরা লোকবল সঙ্কটে ভুগতেছি। যে পরিমান বনপ্রহরী প্রয়োজন তার তুলনায় খুবি নগন্য। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে প্রতিনিয়ত বিশাল সম্পাদ পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে। বন প্রহরীরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বনজ সম্পাদ পাহাড়া দিচ্ছে। বন মন্ত্রণালয় এবং উর্ধ্বতন পক্ষ হতে বন বিভাগে আরো লোকবল বাড়িয়ে দিলে এ সঙ্কট দূর হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন