রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধ

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা- মধুখালীতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

| প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা: ফরিদপুর-১ আসন ( বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা- মধুখালী) উপজেলা নিয়ে গঠিত। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের এখনও দেড় বছর বাকি। এর আগেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চলছে গণসংযোগ। পোস্টার, ব্যানারে প্রচারণাও চলছে জোরেসোরে। ফরিদপুর-১ আসনের চিত্র এখন এমনই। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঘর থেকে বের না হলেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশীরা মাঠে আছেন ভালোভাবেই। ভোটের আগেই যেন শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ।
এই আসনে এখন পর্যন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলো, বর্তমান এমপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, বোয়ালমালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, আলফাডাঙ্গা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার ।
আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান চান আবারও এমপি হতে। কাজী সিরাজুল ইসলাম চান হারানো এমপিত্ব ফিরে পেতে। আর কাঞ্চনমুন্সি ফাউডেশনের চেয়ারম্যান ও সমাজ সেবক আরিফুর রহমান দোলন চান মানুষের জন্য কাজ করতে। অন্যদিকে স্থানীয় বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও দীর্ঘ দিনের আওয়ামীলীগের ওই উপজেলার সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুশা চাইছে শেষ জীবনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নির্বাচন করতে।
সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন উপজেলাতেই তার সমর্থিত সদস্য প্রার্থীরা হেরেছেন। এমপির ঘনিষ্ট বলেই তাদের এই ভারাডুবি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যাওয়া এবং পরে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা কাজী সিরাজও বলছেন, নেত্রীর (শেখ হাসিনা) ‘গ্রিন সিগন্যাল’ নিয়ে নাকি তিনি মাঠে নেমেছেন। এবার তিনিই নৌকার টিকিট পাচ্ছেন, এটাই নাকি নিশ্চিত। তিনি এও বলছেন, ‘নেত্রী আমাকে কথা না দিলে এই বুড়ো বয়সে কি মাঠে নামতাম?’ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, কাজী সিরাজ মানুষ ভালো। ব্যবহারও খারাপ না। দানশীল। কিন্তু দল বদল করে সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলায় মানুষ তাকে আর বিশ^াস করতে পারছে না। তাছাড়া বয়স হয়েছে। সবার সাথে আগের মতো মিশতে পারেন না। তাই নৌকার প্রার্থী হিসেবে তিনি দুর্বল বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
তবে নতুন মুখ আরিফুর রহমান দোলন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন উপজেলাতেই নিয়মিত যাচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত এলাকা ঘুরে দেখছেন। মানুষের দুঃখ দুদর্শার কথা শুনছেন।
অন্যদিকে দীর্ঘ দিন স্থানীয় রাজনীতি করা বোয়ালমালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া গত দুই বার জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়নের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন । তিনিও এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ বারের মতো ফরিদপুর -১ আসনের নৌকার টিকিট পাওয়ার চেষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় ভাবে তিনি বেশ শক্ত সাংগঠনিক ব্যাক্তি হওয়ায় ভোটারদের কাছে তারও রয়েছে গ্রহনযোগ্যতা।
সম্প্রতি বোয়ালমারী আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় দলের তৃণমূলের ২২ জন নেতা তার বক্তব্যে বর্তমান এমপির বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন । এসময় তারা আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নতুন যে কোনো প্রার্থীতে দেওয়ার আহবান জানান সভানেত্রী কাছে ।
মধুখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কবিরুল আলম মাও দলের মনোনয়নের বিষয়ে বলেন, ফরিদপুর-১ আসনের তিনটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম হলো বোয়ালমারী উপজেলা। কারন এই উপজেলাতে রয়েছে সব থেকে বেশি ভোটার। তাছাড়া বিএনপির প্রার্থী ওই উপজেলা থেকে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই কারনে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন