শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সখিপুর-বাটাজোর সড়কে জীর্ণ বেইলী ব্রিজ যেন মরণফাঁদ দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা

সখিপুর-বাটাজোর সড়কে উপজেলার কীর্ত্তনখোলা বাজারের পশ্চিম পাশের ধুমখালি এলাকার খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি গত ১৫দিনেও সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি মালবাহী ট্রাকের চাপে জরাজীর্ণ ওই সেতুটির দুইটি লোহার পাত খসে পড়ায় ওই সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে সখিপুর-বাটাজোর সড়কে কীর্ত্তনখোলা এলাকায় একটি খালের ওপর বেইলী সেতু নির্মিত হয়। সেতুটির দুটি লোহার পাত ভেঙে পড়ায় ওই সড়ক দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সখিপুরসহ ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের এক অংশের লোকজন। এ সড়কটি সখিপুর থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ সদরে এবং ঢাকা যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এছাড়াও সখিপুর থেকে রাজধানী শহর ঢাকা যাতায়াতের বিকল্প সড়কও এটি। প্রতিদিন ওই সড়কে ট্রাক, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া ভালুকা থেকে পূর্বাঞ্চলের লোকজনের সখিপুর আসার একমাত্র সড়ক এটি। ওই সেতুর এক অংশ ভেঙে পড়ায় বাকি অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। সখিপুর উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, ওই সেতু সংস্কার না হওয়ায় আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দা আঃ মালেক উরফে মালেক নেতা বলেন ‘ব্রিজটি খুবই জরাজীর্ণ। কমপক্ষে ২০-২৫ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহাণির ঘটনা ঘটতে পারে।’ সখিপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, ওই ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। লোহার পাত বরাদ্দ এলেই সংস্কার করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন