শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মধুমতির ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে মহম্মদপুরের মানচিত্র

| প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান : মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে মাগুরার মহম্মাদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীতে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষনে নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচন্ড স্রোতের কারনে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাগুরা জেলার মহম্মাদপুর উপজেলার কাশীপুর, রুইজানি, রায়পুর ও ভোলানাথপুর গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ২৫টি বাড়ির অর্ধশতাধীক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ পর্যন্ত উক্ত ৪ গ্রামের ৮ কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে মহম্মাদপুর উপজেলার মানচিত্র।
নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়ছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি, ফসলী জমি। নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতংক। ভাঙন কবলিত এলাকা কাশিপুর গ্রামের বসিন্দা তিলাম হোসেন বলেন, নদী ভাঙনের ফলে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নদী ভাঙনে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ, কাশিপুর মসজিদ, কবরস্থান বিলীন হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার গোপালগ্রাম থেকে পাল্লা শিরগ্রাম পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বিশাল চর জেগে ওঠায় নদী ¯্রােত বাঁধাগ্রস্থ হয়ে প্রবল বেগে নদী তীরে আঘাত করায় ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, নদী ভাঙন রোধে কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ মিটার বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। বাকী কাজ শেষ করতে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
প্রতি বছরই মহম্মাদপুর উপজেলার মধুমতি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে আর ঘরবাড়ি ফসরী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়। এভাবে ভাঙনের কারনে পাল্টে যাচ্ছে মহম্মাদপুর উপজেলার মানচিত্র।আর এলাকার মানুষগুলো ঘরবাড়ি, ফসল, আবাদী জমি হারিয়ে দরিদ্র থেকে আরো দারিদ্রতার মধ্যে পড়ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন