ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ জেলা সদরের পশ্চিমের কয়েকটি গ্রামে ডাকাতি ও চুরি ঘটনা গ্রামবাসি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রতি মাসেই গরু চুরির ঘটনায় রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহারা দিচ্ছে গৃহস্থ। তারপরও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে চুরি ডাকাতি রোধে পুলিশের সহায়তায় পাহারা বসানো হয়েছে। বাজারগোপালপুর পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা নিয়মিত টহলও দিচ্ছেন। কিন্তু চুরি ডাকাতির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতারা করা যাচ্ছে না। জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বেজিমারা, চান্দুয়ালী, বাজারগোপালপুর, জিয়ালা, মহামায়া, কামতা, কুবিরখালী, শংকরপুর, ডহরপুকুর, মির্জাপুর, মধুহাটী, দুর্গাপুর, কোটচাঁদপুরের সারুটিয়া ও রুদ্রপুর গ্রাম থেকে ২৭টি গরু চুরি ও বাড়ি এবং সড়কে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসির দেওয়া পরিসংখ্যান মতে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এই আট মাস ধরে এ ভাবে চুরি ডাকাতি হচ্ছে। গ্রামবাসি কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। কারা জড়িত তাও সনাক্ত হয়নি। এতে গ্রামের মানুষ হতাশ হচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মধুহাটী গ্রামের সরোয়ারের বাড়ি তেকে এক রাতে ৫টি গরু চুরি হয়। এর মধ্যে একটি গাভী গরু গর্ভবতি হওয়ায় মাঠের মধ্যে ছুরি দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গরুটি মারা যায়। একই গ্রামের আবু তৈয়ব, দেলোয়ার হোসেন ও ফারুকের একটি করে গরু চুরি হয়। বেজিমারা গ্রামের শরিফুল ইমলাম, মধুমিয়া, আতিক, ফজলুর রহমান, জিয়ালা গ্রামের সোহাগ, ডহরপুকুর গ্রামের খোকন, আশিক, কামতা গ্রামের দেলোয়ার, শংকরপুর গ্রামের আলী কদর, মুন্নাফ, মীর্জাপুরের আব্দুর রহিম, আনোয়ার হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, মহামায়া গ্রামের আব্দুল মান্নান, বজলুর রহমান, দুর্গাপুর মাঠপাড়ার মিশন ও আব্দুল আজিজের বাড়ি থেকে সর্বমোট ২৭টি গরু চুরি হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তায় দুর্গাপুর মাঠপাড়ার রেজাউলের বাড়িতে গরু চুরি করতে ঢুকে চোরেরা পালিয়ে যায়। এ ছাড়া চান্দুয়ালী মাঠপাড়ার আলী আহম্মেদ ও সামছুলের বাড়িতে ও জিয়ালা গ্রামের আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে বাজারগোপালপুর জিয়ানগর সড়ক, বাজারগোপালপুর ডাকবাংলা সড়ক ও সর্বশেষ বাজারগোপালপুর চান্দুয়ালি সড়কের নিমতলা সড়কে ডাকাতি হয়েছে। কোটচাঁদপুরের সারুটিয়া ও রুদ্রপুর গ্রামের এক বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক চুরি ডাকাতির ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের বাজারগোপালপুর পুলিশে ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সনজয় মন্ডল বলেন, এলাকায় একটি গ্রæপ নতুন করে অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন