কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা : খুলনার সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন উপক‚লীয় জনপদ কয়রা উপজেলা সদর থেকে উত্তর বেদকাশির কাশিরহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অর্ধশতাধিক জায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে ভরে ওঠায় চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বেশিরভাগ স্থানে সব সময় পানি জমে থাকে। ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক গর্তে পড়ে হেলেদুলে চলতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ উপজেলা, জেলা সদর সহ দূর-দূরান্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ সওজের এ রাস্তাটি বর্ষাকাল শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ না মেলায় মেরামত কাজে হাত দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন দু’টির ৫০ সহস্রাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশায় উদ্বিগ্ন এলাকার জনসাধারন। আইলার পর সর্বশেষ ২০১৩ সালে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে দায়সারাভাবে কাজ করা, নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার ও থিকনেস কম দেওয়ায় দু’বছরের কম সময়ের মধ্যে সওজের রাস্তার কার্পেটিং নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ২নং কয়রার স্কুল শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খানাখন্দ পেরিয়ে জীবনের ঝুুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ভ্যানে চড়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এজন্য রাস্তাটি দ্রæত মেরামতের দাবী জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষক। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, সওজের কয়রা-কাশিরহাট রাস্তাটি মেরামতের অভাবে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গর্ত ও খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, কয়রা সদর থেকে উত্তর বেদকাশির কাশিরহাট পর্যন্ত সওজের রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি মেরামতের সিন্ধান্ত গৃহীত হয় বলে ইউএনও জানান। এ ব্যাপারে সওজের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়রা-কাশিরহাটের ৫ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে বর্ষা মৌসুম শেষে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। তবে এ মুহূর্ত মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে রাস্তার খানাখন্দগুলো ভরাট করা হবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন