বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শিক্ষার নামে শ্রীপুরে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রমরমা বাণিজ্য!

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে অনুমোদনবিহীন ভাবে বসত বাড়ীর রুম ভাড়া নিয়ে কেজি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুলের নামে কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা। শিক্ষার নামে কোমলমতি শিশুদের অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর ও উপজেলায় প্রায় ৫ শতাধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শিক্ষার মান। অদক্ষ ও কথিত শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে করানো হচ্ছে পাঠ দান। অনেক কিন্ডারগার্টেন সকাল ৮টা থেকে রাত্র ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সরকারি নীতিমালা না মেনেই একটি স্কুলের সাথে প্রতিযোগিতা করে একই স্থানে আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষরা। ব্যাঙের ছাতারমত বৈধ-অবৈধ ভাবে শিক্ষা বানিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রীপুরের কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতারা। পর্যাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও স্কুলগুলো প্রতি বছরই হাতিয়ে নিচ্ছে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অসংখ্য পাঠ্যবই। একটি প্রতিষ্ঠানের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোন নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন না থাকলেও ২শ’ থেকে ১২শ’ গজের মধ্যে বোর্ডের অনুমোদন বিহীন অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও কয়েকটি আবাসিক রুম ভাড়া নিয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় অনুমোদনবিহীন ভাবে গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে শিক্ষা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত বেতন ও স্কুল খরচ। এমনও দেখা গেছে ২/৩টি রুম নিয়ে কিন্ডার গার্ডেন খুলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেজি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র ছাত্রীদের টিচিং ও কোচিং করানো হচ্ছে বাড়তি আয়ের আশায়। অনেকে কিন্ডারগার্টেনকে সেবার পরিবর্তে ব্যবসায় পরিণত করেছেন। বিশেষ করে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার কিন্ডারগার্টেনগুলোর সৃষ্টি শুধুমাত্র টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত। মাওনা চৌরাস্তা ও বেড়াইদেরচালা এলাকায় ২শ’ থেকে ১২শ’ গজের মধ্যে প্রায় ১৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। প্রতি শ্রেনীতে ২/৩জন করে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সরকারী ভাবে ৮০/১০০ সেট বইয়ের চাহিদা দিয়ে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক বছর শুরু হওয়ার আগেই সিসি টিভিতে পর্যবেক্ষণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে অনেক অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রæতি। অনেক অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অভিযোগ করেন, শুধু টাকায় খরচ করছি, পড়ালেখার মান কোনটাতেই ভাল না। এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, এখানে প্রায় ৩৫০টির বেশি এমন স্কুল রয়েছে। প্রতিবছরই তালিকার মাধ্যমে বই বিতরন করা হয়। তবে নিতিমালা না মানার বিষয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন