স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণ বিষয়ে সংবিধানের অন্যতম রচয়িতা ড. কামাল হোসেনের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ড. কামাল হোসেনের ইহুদি জামাতা ডেভিড বার্গমান সাংবাদিকতার ভিসা নিয়ে এসে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি শুরু করলেন। অথচ সেই কামাল হোসেন এখন আমাদের নীতিবাক্য শোনান। কামাল হোসেন কাপুরুষ; তিনি ষড়যন্ত্র করে বেশিদূর যেতে পারবেন না। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল যাত্রাবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ।
উল্লেখ গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে বিতর্ক না করার আহবান জানিয়ে বলছেন, এই রায় ঐতিহাসিক। গণতান্ত্রিক এবং সুলিখিত রায়ে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়নি। রায়ে এক্সপাঞ্জ করার মতো কিছু নেই। স্বতপ্রণোদিত হয়ে এক্সপাঞ্জ করারও বিধান নেই। তার জন্য আবেদন করতে হবে। টিভির টকশো এবং বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। ষোড়শ সংশোধনী রায় বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা সরকারের আপিলের শুনানীর আগে ৯ এমিক্যাস কিউরির অন্যতম ছিলেন ড. কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রাবাড়ীর আলোচনা সভায় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরদিন ১৬ আগস্ট ড. কামাল হোসেনকে শেখ রেহানা যখন বললো, চাচা একটা আবেদন জানান বিশ্ববাসীর প্রতি; যেন খন্দকার মোসতাক সরকারকে সমর্থন না দেয়া হয়। তিনি (ড. কামাল হোসেন) কৌশলে শেখ রেহানার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হন। তখন শেখ রেহানা গিয়ে বললো, আপনি কথা দেন মোসতাকের মন্ত্রী হবেন না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যখন কর্ণেল ওসমানীকে প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট করা হলো, এই ড. কামাল হোসেন ধমক খেয়ে ইলেকশনের আগের দিন পল্টন থেকে লেজ গুটিয়ে চলে গেলেন। আর উনারা (কামাল হোসেন) আজ আসেন লম্বা লম্বা কথা বলতে। মনে রাখবেন ড. কামাল হোসেন এই দেশ বীর বন্দনার দেশ, আপনাদের মত কাপুরুষরা ষড়যন্ত্র করে এদেশে বেশি দূর এগোতে পারবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন