শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের এক সভায়, শেরপুরে কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে জেলা আওয়ামীলীগের সকল কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব প্রেরণ এবং শেরপুর ৩ আসনের এমপি প্রকৌশলী ফজলুল হক চানসহ ৫ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার, ও নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিবাদে ২০ মে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের একাংশ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হুইপ আতিউর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং শহরে ঝাড়ো মিছিল করে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ছাড়া কোন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার, দলের কোন শাখা ভেঙ্গে দিতে পারবে না। এছাড়া শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ একতরফাভাবে করা হয়েছে। এ কমিটিকে পুনর্গঠন করার জন দলের সভানেত্রীর কাছে আবেদন করা হলে তা দলের ট্রাইবুনালে বিচারাধীন আছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত আমরা ওই কমিটির সভায় যাই না। তিনি বলেন হুইপ তার দুর্নীতিকে ঢাকা দেয়ার জন্যই এ ধরনের বিতর্কিত কাজ করছে। কাজেই দ্রুত এ ধরেনর সিদ্ধান্ত বাতিল করে দল পুনর্গঠন, মেয়াদোত্তীর্ণ শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান। তা-না হলে দ্রুতই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
এসময় শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু, ভাইস চেয়ারম্যান বায়োযীদ হাসান, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুরে জেলা আওয়ামীলীগের গতকাল ১৯ মে সন্ধ্যায় চকবাজার দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় শেরপুর ২ আসনের এমপি এবং কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে জেলার সকল কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার, শেরপুর-৩ আসনের এমপি ফজলুল হক চান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সামছুর নাহার কামাল, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ও নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ কে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন