গোপালগঞ্জে স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতার পরিবাকে চাপ দেয়া হচ্ছে। কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ধর্ষিত মহিলা ওই গ্রামের অতি দরিদ্রের মেয়ে। এ দম্পত্তির ৫ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিগত ২ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর সাথে ওই মহিলার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতেই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো। দেড় বছর আগে ভিক্ষুকের মেয়ে প্রতিবেশি মৃত আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে আব্দুর রব শেখ বাড়িতে বুয়ার কাজ শুরু করে। এ সুযোগে আব্দুর রব শেখ গত ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ওই মহিলাকে ফুসলাইয়া তার বাবার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই মহিলা অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়ে। গত ১৫ জুলাই কুশলা ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক সাইফুল শেখ ও প্রতিবেশি মাভিয়া বেগম কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের সেবা ক্লিনিকে নিয়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। পরে গত ২৯ জুলাই ওই মহিলা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় আঃ রব শেখ, সাইফুল শেখ ও মাভিয়া বেগমকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরর পর সাইফুল সহ ধর্ষকের পক্ষের প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কুলশা ইউপি আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল শেখ ধর্ষক আঃ রবের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মাভিয়ার সহযোগিতায় সেবা ক্লিনিকে নিয়ে ওই মহিলার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে। সাইফুল ঘটনার সমাধান দিতে পারে নাই। ফলে ধর্ষিতা মহিলা বাধ্য হয়ে মামলা করেছে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল শেখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ওই মহিলার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য আমি শশুরবাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর যাই। পরে বাড়িতে এসে এ সব কথা জানতে পারি। তিনি পরিবারটিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন না বলেও জানান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এস.আই রজব আলী বলেন, মামলা দায়েরের পর গত ৪ আগষ্ট গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে ওই মহিলার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো রিপোর্ট হাতে পাইনি। আমরা ঘটনার তদন্তে নেমে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। গর্ভপাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন