পীরগাছা (রংপুর)উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগাছায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদাররা। পীরগাছা উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৬টি হাটে গরু ছাগল পাওয়া যায়। এসব হাট প্রতি বছর ১ বৈশাখ উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে থাকেন। ঈদ উপলক্ষে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাট হিসাবে চৌধুরাণী হাট, পাওটানার হাট, অনন্দানগর হাট ও দেউতির হাটে পর্যাপ্ত পরিমানে গবাদী পশু পাওয়া যায়। বেচা বিক্রিও অনেক। পছন্দের পশু ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য এবারো হাট গুলি জমে উঠেছে। কিন্তু বাঁধ সেজেসে ইজারাদারেরা। ক্রেতা বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন তারা। একই সাথে দিতে হচ্ছে দ্বি-মুখী টোল। একটি গরুর বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট দুইশ’ টাকা ও ক্রেতার নিকট পাঁচশত টাকা এছাড়াও একটি ছাগল বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট একশত ৫০ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে দুইশত টাকা পর্যন্ত আদায় করে নেয়া হচ্ছে। ফলে ক্রেতা বিক্রেতারা চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। ক্রেতা বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘন করে হাটে টোল আদায়ের তালিকা না টাঙ্গিয়ে সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন ইজারাদাররা। বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেই এসব হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পশু ব্যবসায়ী আজগার আলী জানান, পীরগাছা উপজেলার হাট গুলোতে প্রশাসনের তদারকী না থাকায় ইজারাদারেরা ইচ্ছা মত পশুর হাটে চাঁদা আদায় করছেন। ফলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। চৌধুরাণীর হাটে গরু ক্রেতা আজিজুল রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত চাঁদার চেয়ে দুই থেকে তিন গুন বেশী চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট থেকে ইজারাদাররা। পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম (অ:দ) জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা, বিষয়টি দেখা হবে।'
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন