শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চাটখিল-সোনাইমুড়ি সড়কের দুরাবস্থা ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

| প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : গত ১০/১২ দিনের টানা বর্ষণে যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চাটখিল-সোনাইমুড়ি মহাসড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চালকেরা। যানবাহন চালক ও যাত্রীরা জানান, গত গত ১০/১২ দিন থেকে চাটখিল-সোনাইমুড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এতে চাটখিল-সোনাইমুড়ি মহাসড়কে চলাচলকারী প্রায় ২ শতাধিক বাস ও ৫ শতাধিক সিএনজি যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া বাজার থেকে সোনাইমুড়ির বজরা বাজার পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট গর্ত দেখা গেছে। তবে দশঘরিয়া বাজারে প্রায় ৩০০ ফুট সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। এসব অংশে প্রায় ৬/৯ ইঞ্চি পর্যন্ত গর্তের গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। চাটখিল বাজার থেকে হালিমা দিঘীর পাড়, কাচারী বাজার, জয়াগ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মি. সড়ক ও সোনাইমুড়ির বাংলা বাজার, বজরা বাজারে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য গর্তের কারণে যান চলাচল ধীরগতি হওয়ায় সময় বেশি লাগছে এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। মোটরসাইকেল চালক ডাঃ নুর হোসেন পলাশ বলেন, অত্র এলাকায় অনেক বড় বড় নেতা ও কর্মকর্তা থাকার পরও এসব দেখার যেন কেউ নেই। জননী সার্ভিসের চালক নুর আলম বলেন, এসব গর্তে পড়ে বাসের স্প্রিং ভেঙ্গে গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। লেগুনা চালক আবদুল মালেক বলেন, এ ভাঙ্গা সড়কে চাকা গর্তে পড়ের গাড়ির স্প্রিং ও চাকার অনেক ক্ষতির কারণে ২০ মিনিট পথ তখন ৪০ মিনিট লাগে। চাটখিল সড়ক ও জনপথের অফিসে দুই দিন গিয়েও কোন অফিসারকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে চাটখিল সড়ক অফিসের কার্য সহকারী আবু সুফিয়ান বলেন, এখানে নতুন অফিসার যোগদান করেছেন, মাত্র একদিন এখানে এসেছেন। তারা জেলা শহরে থাকেন, তার নাম ও মোবাইল নাম্বার জানা হয়নি। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের জেলা অফিসের টিএন্ডটি নাম্বারে বার বার চেষ্টা করেও তারা টেলিফোন ধরেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন