নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি ঃ মসলা কিনতে ব্যস্ত নারীরা
গফরগাঁও’র বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ, লবণ, সয়াবিন তৈল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকতেই হু হু করে বেড়েই চলছে। এতে করে মধ্য ও নিন্মবিত্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ১০/১৫ দিন আগে মশুর ডাল প্রতি কেজী ৯০/১০০ টাকা ছিল। এখন বেড়ে হয়েছে ১২০/১৪৫ টাকা। এ ছাড়া ৫০ কেজী প্রতিবস্তা চাল ২০০/৩০০ উপর বেড়ে গেছে। গফরগাঁও শিবগঞ্জ রোডের চাল মহলের মের্সাস খান রাইস স্টোরের মালিক মোঃ মজিবর খাঁন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মিল মালিক ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা যৌথ হয়ে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করেছে। ফলে আমরা বেশী দামে চাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে ঈদকে সামনে রেখে ন্মিমশ্রেণীর দিনমজুরদের আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অসাধু মজুদধারী চাল ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অন্য দিকে কিছু কিছু অসাধূ মিল মালিক ইরির মোটা চালকে কৃত্রিম ভাবে মেশিনে রিফাইন বা সুটার করে চিকন নাজিরা চাল বলে বাজারে পাইকারী/খুচরাভাবে বিক্রি করছে। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও মনিহারী দোকানগুলোতে উপচে-পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। হরেক রকমের মশলা, তৈল, চিনিসহ অন্যান্য উপকরণ ক্রয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীরা এখন ভাল মানের সকল ধরনের গোশত বা মাংসের মশলা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গফরগাঁও কলেজ রোডের বিশিষ্ট মনিহারী দোকান মামুন স্টোরের মালিক মোঃ মোস্তফা জানান, এবারের ঈদে মশুরীর ডাল ও সকল ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপড়রের দোকান ও জুতার দোকানে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত হরদম লোকজনের আনা-গোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার গ্রামবাংলার জনপথ। অনেকেই আবার বছরে একবার শুধু কুরবানি ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসে নাড়ীর টানে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ছোটবড় বাজারে শেষ মর্হুতে প্রচুর গরু-ছাগল বেচা কেনা হয়েছে। তবে ১০/১২ দিনের তুলনায় দাম অনেক বেড়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন