মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে : গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আবহমান গ্রামবাংলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ, লবণ, খোলা সয়াবিন তৈল, চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম ঈদের কয়েকদিন বাকী থাকতেই হু হু করে বেড়েই চলছে। এতে করে মধ্য ও নি¤œ বিত্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ১০/১৫ দিন আগে মশুর ডাল প্রতি কেজী ৯০/১০০ টাকা ছিল। এখন বেড়ে হয়েছে ১২০/১৪৫ টাকার উপর প্রতিকেজি । এছাড়া ৫০ কেজি প্রতিবস্তা চাল ২০০/৩০০ উপর বেড়ে গেছে। গফরগাঁও শিবগঞ্জ রোডের চাল মহলের মেসার্স খান রাইস ষ্টোরের মালিক মোঃ মজিবর খাঁন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মিল মালিক ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা যৌথ হয়ে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করেছে। ফলে আমরা বেশী দামে চাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্য দিকে কিছু কিছু অসাধূ মিল মালিক ইরির মোটা চালকে কৃত্রিম ভাবে মেশিনে রিফাইন বা সুটার করে চিকন নাজিরা চাল বলে বাজারে পাইকারী/খুচরা ভাবে বিক্রি করছে। ঈদের আর একদিন বাকী থাকলেও মনিহারী দোকান গুলোতে উপচে-পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে । হরেক রকমের মশলা, তৈল , চিনিসহ অন্যান্য উপকরণ ক্রয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীরা এখন ভাল মানের সকল ধরনের গোছত বা মাংসের মশলা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গফরগাঁও কলেজ রোডের বিশিষ্ট মনিহারী দোকান মামুন ষ্টোরের মালিক মোঃ মোস্তফা জানান , এবারের ঈদে মশুরীর ডাল ও সকল ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপড়রের দোকান ও জুতার দোকানে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত হরদম লোকজনের আনা-গোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার গ্রামবাংলার জনপথ। তরুণ-তরুণী-শিশুদের ইমিটেশন বা কসমেটিসকদোকান গুলোতে নানান ধরনের পণ্য ক্রয় করার জন্য ভিড় করছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সিএনজি, অটো, টমটমসহ সকল ধরনের যানবাহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। ফলে ন্মিমবৃত্তদের আর্থিকভাবে দারুনক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন