মধুখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কর্তৃক প্রতিব›দ্বী ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.কামাল হোসেন স্বাভাবিক এবং সুস্থ্য প্রায় ৩০ জন ব্যক্তিকে প্রতিব›দ্বী ভাতা সুবিধা দিয়ে বই নিজের কাছে রেখে উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও সোনালী ব্যাংক কামারখালী শাখার সাথে আতাত করে ভাতার টাকা তুলে নেয়। ভাতা গ্রহীতাকে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেই আত্মসাত করেন। গত রোববার প্রায় ৫০ টি বই নিয়ে সোনালী ব্যাংক কামারখালী শাখায় টাকা তুলতে গেলে চাপের মুখে কিছু বইয়ের টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে ১০ টি বইয়ের ৬০ হাজার ২০০ টাকা তুলে নিয়ে যেতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবার মাঠ কর্মি বাধা দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো.খুরসিদ আলম মাসুমকে জানালে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ১০টি ভাতার বই জব্দ করেন।
এ ব্যাপারে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ আলম মাসুম বলেন, আমি শুনেছি ইউপি সদস্য কামাল নিয়মিত প্রতিব›দ্বী ভাতা তুলে নেন। বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারও বই নিজের কাছে রাখিনা। ভাতা ভোগী প্রতিব›দ্বীরা টাকা পেতে দেরি হওয়ায় অতিষ্ট হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের টেবিলে বই ফেলে রেখে বলে যায় আমরা চলে গেলাম মেম্বর যা করার করবেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা বলেন, খবর পেয়ে আমি ১০ টি বই জব্দ করেছি এবং ভাতা ভোগীদের অফিসে আসতে বলেছি যাচাই বাছাইয়ের জন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, আমি অবগত হয়েছি এবং সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন